বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে ফের একবার গোষ্ঠী কোন্দল তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে বচসা, তা থেকে হাতাহাতি এবং পরবর্তীতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Pargana) জেলার বসিরহাট (Basirhat) এলাকা। এমনকি, পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন এক পুলিশ কর্মী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ঘটনাটি বসিরহাটের শাকচুড়া বাজার সংলগ্ন টাকি রোডের। গতকাল রাতের দিকে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বচসা শুরু হয়। পরবর্তীতে সেই বিবাদ হাতাহাতির পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে এবং এরপর পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় পুলিশ বাহিনী প্রবেশ করলে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় টাকি রোড।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশ বাহিনী প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিবিদ্ধ হন প্রভাস সর্দার নামে ৪২ বছর বয়সী এক পুলিশ কর্মী। পরবর্তীতে পুলিশের তরফ থেকে গুলি চালানো হলে পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জখম পুলিশ কনস্টেবলকে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে এ ক্ষেত্রে কোন বিষয় নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা মেলেনি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম নামে এক তৃণমূল নেতা সহ মোট ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল কর্মী কুতুবউদ্দিন গাজী বলেন, “আমাদের এক তৃণমূল নেতা বাজারে গিয়েছিল। হটাৎ সিরাজুল ইসলামের অফিস থেকে কয়েকজন বেরিয়ে আসে এবং মারধর করা শুরু হয়। আমরা সেখানে গেলে আমাদেরকেও মারধর করা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে এলাকায় উপস্থিত হন চারজন পুলিশ। কিন্তু তারা প্রবেশ করার পরই একের পর এক গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা এক পুলিশকর্মী আহত হন।”
“এক্ষেত্রে সিরাজের ভাই কিংবা ছোট ছেলের হাতে বন্দুক দেখা গিয়েছে। তবে তা থেকে গুলি করা হয়েছে কিনা, তা বলা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। আমরা চাই, তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হোক”, বলেন ওই তৃণমূল কর্মী। অপরদিকে, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাদের দিকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।