বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু এবার একেবারে বেআব্রু হয়েই সামনে এলো দলের অন্দরের সেই কোন্দল। একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চরমে উঠল দলের কর্মীদের হাতাহাতি ভাঙচুর। পুরো ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের কপাটের হাট এলাকায়।
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লকের কপাটের হাট এলাকার একটি কমিউনিটি হলে চলছিল বেশ কিছু সামগ্রী বিলি। ১ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি গৌতম অধিকারীর উদ্যোগেই চলছিল অনুষ্ঠানটি। কিন্তু সেই সময়েই সেখানে সদলবলে হাজির হন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি সুজাউদ্দিন সাঁফুই। সুজাউদ্দিনের অভিযোগ, তাঁকে কিছুই না জানিয়ে পুরো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন গৌতম। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় দুপক্ষের বচসা।
মূহুর্তেই বচসা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে হাতাহাতি বেঁধে যায় দুই দলের। চলে একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। এই তাণ্ডবে আহত হন দুপক্ষের জনা পাঁচেক কর্মী। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে সুজাউদ্দিনের বক্তব্য, ‘ওইখানে অনুষ্ঠান চলছিল। আমি গিয়ে গৌতম অধিকারীকে বললাম, দাদা আমি তো সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। আমি কি কেউ নয়? আমায় জানালেও না বিষয়টা? এই প্রশ্ন করতেই আমার কলার ধরে বলল তুই কে?’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অবশ্য মুখ খোলেননি ব্লক সভাপতি গৌতম অধিকারী। স্থানীয় বিধায়ক পান্নালাল হালদারের দাবি, ‘আমার সামনে কিছুই হয়নি। আমাকে বল হয় ভিতরে গণ্ডগোল হচ্ছে, যাবেন না। পরে আমি ঢুকি। তারপর সকলকে নিয়েই শান্তিপূর্ণভাবে মাননীয় সাংসদের উপহার কর্মসূচি আমরা শেষ করি।’ উল্লেখ্য, বিরোধী শুন্য ডায়মন্ডহারবার। সর্বত্রই ক্ষমতায় তৃণমূল। কিন্তু তাও শান্তি নেই এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিজেদের মধ্যেই হানাহানি করেই এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে রাজ্যের শাসকদল।