বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সকাল ৭ টা থেকেই ত্রিপুরায় (tripura) শুরু হয়েছে পুরভোট (Municipal Election) এবং চলবে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। ৩৩৮ আসনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১১২ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় জয়লাভ করেছে বিজেপি শিবির। সেই কারণে বাকি থাকা ২২২ আসনে ভোট হচ্ছে। এবারের এই নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়েছে তৃণমূলও।
মোট বুথের সংখ্যা রয়েছে ৬৪৪টি। যার মধ্যে ‘অতি স্পর্শকাতর’ ধরা হয়েছে ৩৭০টি বুথকে এবং ‘স্পর্শকাতর’ রয়েছে ২৭৪ টি বুথ। অতি স্পর্শকাতর বুথগুলিতে ত্রিপুরা সশস্ত্র বাহিনীর পাঁচ জন করে জওয়ান রয়েছেন এবং স্পর্শকাতর বুথগুলিতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলের চারজন করে জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন। বাড়তি নিরাপত্তার চাদরে মোড়া হয়েছে আগরতলার প্রতিটি বুথকে। মোয়াতেন করা হয়েছে TSR।
মোট ভোট দাতা ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪১ জন। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। সেইসঙ্গে সকাল থেকেই বিভিন্ন সমস্যার চিত্র উঠে আসছে ত্রিপুরা থেকে। অভিযোগ উঠেছে, আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর শ্যামল পালের এজেন্টকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ইভিএম মেশিনে তৃণমূলের প্রতীক এঁকে দেওয়ার এবং গড়মিল রয়েছে একাধিক বুথের ইভিএম মেশিনও অভিযোগও উঠেছে।
ভোটদান শুরু হতে না হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার, অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল শিবির। উঠেছে কোথাও হামলা, কোথাও EVM মেশিন গড়মিল, কোথাও জমায়েতের অভিযোগ। আবার আবার নির্বাচনের আগের রাতে তৃণমূল প্রার্থী, এজেন্টদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। এই সকল বিষয়ে পুলিস সুপার, ওসি এবং রিটার্নিং অফিসারদের জানাতে গেলে, তাঁদের ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে মমতা বাহিনী।