বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়। সম্প্রতি একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। তবে এর মাঝেই যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটি হল অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার হওয়ার পর বীরভূমে তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করবেন কে? বিশেষত, সামনে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। তার আগে সংগঠনকে মজবুত করার জন্য কোন কোন পন্থা নিতে চলেছে ঘাসফুল শিবির, সে নিয়ে একাধিক জল্পনার সৃষ্টি হতে থাকে। এদিন অবশেষে সেই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্যই বৈঠকে বসেন বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে খবর। অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে তার চেয়ার ফাঁকা রেখেই শুরু হয় বৈঠক। এদিন উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ সিংহ, চন্দ্রনাথ সিনহা ও মলয় মুখোপাধ্যায়ের মত একাধিক নেতারা। বৈঠক সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি ঘটনায় যে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ করতে এদিন একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যেখানে চন্দ্রনাথ সিনহা ও অভিজিৎ সিংহের মতো নেতারা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত জেলাস্তরে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেগুলি এই কমিটির দ্বারাই বিবেচিত হবে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, বীরভূম জেলাস্তরে মুখপাত্র করা হয়েছে মলয় মুখোপাধ্যায়কে। উল্লেখ্য, এতদিন তিনি জেলার সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন। নয়া দায়িত্ব পেয়ে মলয়বাবু জানান, “দলের সমস্ত কর্মসূচি পালিত হবে। আগামীকাল স্বাধীনতা দিবস এবং এর পরই রয়েছে খেলা হবে দিবস। আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। এসকল কর্মসূচিগুলি দলের তরফ থেকে পালন করা হবে।” ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে দল জেলাস্তরে যে কোনরকম ত্রুটি রাখতে চাইছে না, তা পরিষ্কার।
এদিন বীরভূমের এই বৈঠকে সিউড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী রঞ্জিন গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ঘিরে জল্পনার দেখা দেয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিশেষ আইনি পরামর্শের জন্যই বৈঠকে উপস্থিত হন তিনি। তবে এক্ষেত্রে বৈঠক চলাকালীন কোন পরামর্শের প্রয়োজন পড়েছিলো, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা মেটেনি।