থমথমে বীরভূম, বন্ধ পার্টি অফিস, বন্ধ অনেক নেতার ফোন! প্রশ্ন একটাই এবার কার পালা?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক শীর্ষ নেতাদের জালে তুলছে ইডি (ED), সিবিআই (CBI)। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তারপর অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তটস্থ ঘাসফুল শিবির (TMC)। প্রহর গুনছে এবার কার পালা? একাধিক বার ফোন করা হয় রাজ্যের শাসক দলের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীকে। কারুর ফোন বেজেই যায় তো কারুর ফোন বন্ধ।

কেষ্টর গ্রেফতারের পর বীরভূমেও আতঙ্কিত তৃণমূল। তবে সন্ধের পর কিছুটা যেন প্রাণ ফিরে এলো। কোন ভাবে গলা তুলে বিজেপির (BJP) দিকে আঙুল তুললেন কেউ কেই। বিজেপির চক্রান্তেই দলের প্রিয় জেলা সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নিয়ে সরব হলেন অনেকেই। কিন্তু গলায় সেই জোরটা যেন আর নেই। থাকবেই বা কিভাবে? দলের অধিনায়ককেই তো ‘ক্লিন বোল্ড’ করে দিয়েছে সিবিআই। কেষ্টর গ্রেপ্তারের পর নতুন আতঙ্কে ভুগছে তৃণমূল। দলের অন্দরে এখন একটাই প্রশ্ন, এরপর কার পালা?

বৃহস্পতিবার সকালে ব্লক ও পুর এলাকাগুলিতে যুবকল্যাণ দফতরের উদ্যোগে রাখীবন্ধন উৎসব পালিত হয়। কোথাও আবার তৃণমূলের স্থানীয় নেতা, কর্মীরা উদ্যোগ নিয়েই পালন করেন রাখী উৎসব। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গ্রেফতারের খবর আসে। তারপরই সব কেমন ফ্যাকাসে হয়ে যায়। সিউড়ি পুরসভার সামনে চলা উৎসব হঠাৎই থেমে যায়। জেলা তৃণমূল ভবনে ফিরে যান বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীও।সভাপতি মহম্মদ সফি, জেলা নেতা রাধাবল্লভ চট্টোপাধ্যায় পার্টি অফিসে এসে হাজির হন। পরে বিকাশবাবু সিউড়ি থেকে বোলপুর বাড়িতে ফিরে যান।

বিকাশ জানান, ‘উত্তরপাড়ার দিদি মারা গিয়েছে। দিদির কাছেই মানুষ হয়েছিলাম। সঙ্গে কেষ্টদার গ্রেফতার। মন খুবই খারাপ। বাড়ি থেকে আর বের হইনি।’ মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘এই চরম সময়ে আমি জেলার বাইরে সরকারি কর্মসূচিতে মেদিনীপুরে আছি। বোলপুরে সকলে ভাবছে, আমি জেলায় ফিরে ওদের সঙ্গ দেব।’ লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত সিংহ বলেন, ‘দলের এখন সংকটময় মূহূর্ত চলছে। লাভপুরে কর্মীদের নিয়ে বসেছি। কি করা যায় তার জন্যই আলোচনা চলছে।’

এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর জেলা পার্টি অফিসে আলোচনায় বসেন জেলার কয়েকজন নেতা। তাঁরা আগামীদিনের কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন। ওই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিজেপির এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে পালটা প্রচারে যেতে হবে। দলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আইনের লড়াই আইন দিয়েই হবে।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর