বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর ঢাকে কাঠি! আগামীকাল মহালয়া, আর দিন কয়েক পরেই শুরু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। পুজোর এই ৪ টা দিন সমস্ত দুঃখ-কষ্ট, কাজ-কর্ম ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন সকল বাঙালি। তবে রাজনীতির অন্দরে বিশ্রাম নেই। এবার পুজোতেই বড় টার্গেট শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। বর্তমানে তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। শাসক থেকে বিরোধী ভোট আবহে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সকল রাজনৈতিক দল। তাই নির্বাচনী অবহে একটা দিনও সময় নষ্ট করতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে ২৪ এর আগে পুরোপুরি জনসংযোগ সেরে ফেলতে চাইছে জোড়াফুল শিবির।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগের বছরও তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর (TMC Bijoya Sammilani) সভাগুলি কার্যত দলের নেতা-কর্মীদের জনসংযোগ সভার রূপ নিয়েছিল। তাতে একদিকে জনসংযোগের পাশাপাশি পুরোনো কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তেমনই কর্মীদের থেকে নেওয়া হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর দলে ভোট দেবেন দেবাংশু! তৃণমূল নেতার পোস্ট ঘিরে জল্পনা
একই মঞ্চে সমাগম ঘটে দলের নতুন-পুরাতনদের। কোথায় কোন সমস্যা রয়েছে, দলের অন্দরে কোথাও ক্ষোভ জমে রয়েছে কিনা তারও টেস্ট হয়। জেলায়-জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর সভাগুলিতে মঞ্চে একজোটে ব্যবহার হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
দুই প্রধানের ছবি ব্যবহারে দলের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা আরও বেশি মাত্রায় পরিলক্ষিত হয়। বিজয়া সম্মিলনীর সভা গুলিতে অধিক মাত্রায় দেখা যায় মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি। মহিলা ভোটব্যাঙ্ক গুছিয়ে নিতে তৃণমূলের এই সভাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দল সূত্রে খবর, শীর্ষ নেতৃত্ব প্রথমে ৫০০ সভার টার্গেট রেখেছিল। তবে তা হাজারেরও বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দলের কর্মী সমর্থক সহ লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর টার্গেট তৃণমূলের। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বিজয়া সম্মিলনীর সভা গুলি হয়ে উঠবে তৃণমূলের জনসংযোগ সভা।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার