এলাকায় দিদির দূত ঢুকতেই কুকুরের মতো তাড়া, আগে থেকেই ওঁত পেতেছিল পুলিশ! তারপর ..

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যেতে মমতা সরকারের নয়া উদ্যোগ ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’। এই সুরক্ষাকবচ আসলে কী তা আম জনতাকে বোঝাতে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ‘দিদির দূত’রা (Didir Doot)। এর তাতেই ঘটল বিপত্তি। কর্মসূচিস্থলে পৌঁছানোর আগেই বাধা দেওয়া হল দূতেদের। আর বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ দলেরই কর্মী আর পুলিশের বিরুদ্ধেই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ক্যানিংয়ে (Canning)।

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে দিদির দূতেরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙা এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচির প্রচারে বেরিয়েছিলেন। এরপরেই তাঁদের অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এও জানা যায়, যাতে কর্মসূচির প্রচারে ‘দিদির দূতেরা’ সেই এলাকায় ঢুকতে না পারে, সেজন্য শাসকদলেরই কিছু কর্মী সমর্থক হেড়োভাঙা বাজারের ওপর তাঁদের বাধা দেন। শুরু হয় দুপক্ষের ধস্তাধস্তি।

   

তৃণমূলের (Trinamool) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপরেই দূতরা অভিযোগ করেন সেখানে মোতায়েন করা পুলিশ কুকুরের মতো লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে তৃণমূল কর্মীদের এলাকা ছাড়া করেন। পুলিশ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সহ দিদির দূতেদের সরিয়ে দেয়। আর এতেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তাঁরা।

tmc flag

ঘটনা প্রসঙ্গে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদন নস্করের অভিযোগ, “দিদি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব আমাদের ওপর দিয়েছে, সেগুলি আবার বাধা দিচ্ছে প্রশাসনই। দিদিকে আমি অভিনন্দন জানাই, হাততালি দিই। দিদি এই ভিডিয়ো ওখানে বসে বসে দেখুন, কারা অত্যাচার করছে আমাদের প্রতি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের কুকুরের মতো তাড়া করেছে, দিদি দেখুন এটা।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর