টিকিট পাওয়া নিয়ে তৃণমূলে তুমুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে দলীয় সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, নেতারা একে একে দল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। আরেকদিকে, দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে বিধানসভা ভোটের আগে তুমুল বিপাকে তৃণমূল। এবার মালদহের ইংলিশবাজার এলাকায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়কের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের চিত্র ফুটে উঠলো। বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠলো রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, একুশে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পাওয়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল অশান্তি।

গতকাল রাতে তৃণমূলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী এবং ওনার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে যে কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর অনুগামী এবং মালদার যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের প্রায় ১৫০ জন অনুগামী বিধায়ক নীহাররঞ্জন রায়ের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। ভেঙে ফেলা হয় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাইক। বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর সঙ্গে সঙ্গে নীহারবাবুর দলীয় কার্যালয়েও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, আমাকে ভয় দেখানোর জন্যই এই হামলা করা হয়েছে। সেখান থেকে আমার লোকেরা আমাকে সরিয়ে না নিয়ে গেলে আমাকে খুন করে দিত ওঁরা। বিধায়ক জানান, কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর অনুগামী এবং মালদার যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের লোকেরা এই কাজ করেছে। এই দুই নেতা দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

আরেকদিকে, সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘গতকাল সকালে বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের স্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এক জল বিক্রেতার অশান্তি হয়। আর সেই অশান্তির জেরে বিধায়কের বাড়িতে হামলা হয়েছে। এই হামলায় আমাদের কোনও ভূমিকা নেই।”

বলে রাখি, ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে জয় পেয়েছিলেন নীহাররঞ্জন ঘোষ। এরপর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। একুশের নির্বাচনে ওই আসন থেকে এবারও নীহারবাবুর টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর সেই কারণে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে টিকিট নিয়ে চলছে শক্তি প্রদর্শন।


Baisakhi Dutta

সম্পর্কিত খবর