বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কদিন আগেই ঘটে গিয়েছে রামপুরহাটে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে বোমা মেরে খুন করার পর এলাকা তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, যার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার সকালে চিকিৎসা চলাকালীন আরও এক নিগৃহীতর মৃত্যু হয় হাসপাতালে। বগটুইয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বোমাবাজি বাংলায়।
উল্লেখ্য, রামপুরহাটে যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই কাণ্ড ঘটেছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি গতকাল শিলিগুড়ির সভা থেকে বলেন, মরল তৃণমূল, তৃণমূলের বাড়িতেই আগুন লাগল, আর ওঁরা আমাকেই গালাগাল করছে।
বগটুইয়ে বোমাবাজির পর এবার মহেশতলা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডেও ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পানীয় জলের লাইন মেরামতিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। আর সেই বচসা বোমাবাজিতে পরিণত হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে জানিয়েছে যে, দুই পক্ষই তৃণমূলের লোক।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবারে রাতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা তৃণমূলের কাউন্সিলর সত্যেন্দ্র সিংয়ের অফিস লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। সোমবার সকালে সেখান থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তৃণমূলে তৃণমূলে অশান্তি হওয়ার পর তৃণমূল কাউন্সিলর পদত্যাগ করতে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে গোটা এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহেশতলা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই পানীয় জলের লাইনটি মেরামত হলে কমপক্ষে ২৫০ জন মানুষ উপকৃত হবে। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর নরেশ যাদব জানান, রাস্তায় মেরামতির কাজ চলার জন্য চারচাকা গাড়িতে করে রুগী নিয়ে যেতে অসুবিধা হচ্ছিল। এরপর আমার লোকেরা কিছুক্ষণ কাজ থামানোর কথা বলে। সেখান থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। তিনি জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত করুক প্রশাসন। দোষীরা শাস্তি পাক।