বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের পূর্বেই ক্রমশ সরগরম হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি। শুরু হয়েছে দল ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা। ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) কিন্তু কোনদিকেই কর্ণপাত করতে নারাজ। যাই হোক না কেন, এই তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতার গলায় ফুটে উঠল আত্মবিশ্বাসের সুর- ‘সমুদ্র থেকে মাত্র এক বালতি জল তুলে নিলে, সমুদ্রে কিন্তু তার কোনও প্রভাবই পড়ে না’।
নির্বাচনের প্রচার কাজ চলছে জোরকদমে। এরই মধ্যে আবার চলছে দল ভাঙ্গনের খেলাও। একদলের হেভিওয়েট নেতৃত্ব গিয়ে নাম লেখচ্ছেন অন্য দলে। বর্তমানে তো শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সরগরম রয়েছে বাংলার রাজনীতি। রাজ্য সরকারের সমস্ত পদ ত্যাগ করে, শেষে অবশিষ্ট থাকা তৃণমূলের বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে সবুজ শিবিরের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন রাজনীতিতে তাঁর পরবর্তী অবস্থান কোথায় থাকে, সেইদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বাংলার প্রতিটি মানুষ।
একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী যখন উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন, ঠিক সেই সময় দলের সঙ্গে শেষ সম্পর্কের সুতো টুকু ছিন্ন করে বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধুমাত্র বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়াই নয়, সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে গেলেন কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে বৈঠক করলেন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে। এবিষয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, ‘বাংলার প্রতিটি মানুষ মমতা ব্যানার্জীকে বিশ্বাস করেন, ভরসা করেন। ওনার গণ আন্দোলনের ফলই হল এই দল। আমরা দলের প্রতিনিধি হয়েই কাজ করি এবং মানুষ আমাদের বিশ্বাসও করেন’।
এরপর স্পষ্ট ভাষায় আত্মবিশ্বাসের সুরে পুরমন্ত্রী বলে উঠলেন, ‘কারো ইচ্ছা করলে দল ছেড়ে চলে যেতে পারে, যে কারো সঙ্গে বৈঠক করতে পারে, সেটা সম্পূর্ণই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে সে বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। দেখবেন সমুদ্র থেকে এক বালতি জল তুলে নিলে, সমুদ্রের কিন্তু কোন সমস্যা হয় না। তাই তৃণমূলের মত একটি সর্বভারতীয় দল এই কে এল, কে গেল- এসব নিয়ে খুব একটা ভাবে না’।