বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘তৃণমূল দলে দুষ্কৃতীদের জায়গা করে দিচ্ছে’- সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ালেন মালদার তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী (krishnendu narayan chowdhury)। এতদিন যে অভিযোগ করে এসেছে বিরোধী শিবির, এবার সেই সুরেই গান ধরলেন দলেরই হেভিওয়েট এক নেতা।
বিষয়টা হল, শনিবার কুম্ভীরা ফাঁড়ির পুলিশ, মালদার বৈষ্ণবনগরের বখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতপুরে জালনোট পাচারকারীদের ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের পাকড়াও করে যখন পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছে, অভিযোগ উঠেছে সেই সময় পুলিশ কর্মীদের উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করে দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনায় ওসিসহ ২ পুলিশ আধিকারিক ও ১ সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর ভাবে আহত হন। এরপর এই ঘটনায় জোর তল্লাশি করা শুরু হয়। আর তল্লাশির ফলে গ্রেফতার করা হয় বখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য সীমা বিবি এবং তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা হবিবুর রহমানকেও। এই ঘটনায় তৃণমূলের সঙ্গে দুষ্কৃতী যোগের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মালদার তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘নিজেদের পিঠ বাঁচাতে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছে সমাজবিরোধী, দুস্কৃতীরা। আর তৃণমূলও দলে প্রবেশের জন্য তাঁদের সুযোগ করে দিচ্ছে। অবিলম্বে এদের দল থেকে বার করে দেওয়া উচিৎ। নাহলে এদের জন্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়ে যাচ্ছে’। দলীয় নেতার এমন মন্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে সবুজ শিবির। চাপানউতোর শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।