বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (covid-19) সংক্রমণ সামান্য কমতেই, বিধি নিষেধের গণ্ডী কিছুটা আলগা করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্য। সেইমত পশ্চিমবঙ্গে (west bengal) এই বিধি নিষেধের সময়সীমা ৩০ শে জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হলেও, ছড় দেওয়া হয়েছে আরও বেশকিছু বিষয়ে। তবে একদিকে যখন ধীরে ধীরে শিথিলতা আনছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার, তখন কড়া হাতে করোনা মোকাবিলার নির্দেশ দিল কেন্দ্র সরকার।
এদিন অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যসচিবদের পাশাপাশি বাংলার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘গণপরিবহণ, শৈলশহর, বাজার এলাকায় করোনা বিধি চূড়ান্ত ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বাংলায়। এইসকল এলাকায় সুরক্ষাবিধি আরও কড়া করার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন। বেশি জনসমাগম এলাকায়, করোনা বিধি অবশ্যই মান্য করত হবে’।
চিঠিতে আরও লেখা ছিল, ‘টিকাকরণ চললেও আত্মতুষ্টির কোন জায়গা নেই। করোনা পরীক্ষা, রোগীর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ, টিকাদান সবকিছুই আগের মত গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। যেসব জায়গায় করোনা বিধি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে, সেইসব জায়গায় করোনা বিধি উলঙ্ঘিত হলে, কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে’।
একদিকে যখন উপনির্বাচনের তোরজোড় করছে বঙ্গের তৃণমূল শিবির, সেইসময়ে করোনা ইস্যুতে কেন্দ্রের এই নির্দেশাবলী কিছুটা অন্যভাবেই দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জয়লাভ করলেও, বর্তমানে পরাজিত বিধায়ক হিসেবেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মমতা ব্যানার্জি। ৬ মাস অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করতে হবে। তবেই নিজের গদি বাঁচাতে সক্ষম হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমত উপনির্বাচনের তোরজোড় করছে তৃণমূল শিবির। এমনকি আজই দিল্লীতে নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হবে বলেও জানা গিয়েছে।
তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই তৃণমূল চাইছে উপনির্বাচন সম্পন্ন করতে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে এখনও অবধি এই বিষয়ে কোন সাড়া পায়নি বলেই খবর। তবে এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের এমন নির্দেশকে রাজনৈতিক দিক থেকে বিচার করে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।