বাংলা হান্ট ডেস্ক: সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ পর্বের আগেই তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ (TMC-ISF clash) আর বোমাবাজিতে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগণার ভাঙড় (Bhangar)। এদিন সংঘর্ষের ফের যেন ‘স্বমূর্তি’ ধারণ করল আরাবুলহীন ভাঙড়। এমনিতে বরাবরই রাজনৈতিক সংঘর্ষ কিংবা উত্তেজনাকে ঘিরে শিরোনামে থাকে ভাঙড়।
সপ্তম দফার নির্বাচন পর্বের আগেই গত রাতের বোমা-বিস্ফোরণ আর রাজনৈতিক সংঘর্ষের পর কার্যত থমথমে গোটা এলাকা। শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারের পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আরও একবার তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ভাঙড়।
এই রাজনৈতিক রেষারেষির জেরে এদিনের এই বোমাবাজিতে জখম এক শিশুসহ ৭ জন। এই ঘটনার পর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগের তীর আই এস এফের দিকেই। তাদের দাবি এদিন রাতে তাদের লক্ষ্য করে আতর্কিতে বোমা ছুঁড়েছে আইএসএফের একদোল দুষ্কৃতী।
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। এদিনের এই ঘটনায় আহত চারজনকে প্রথমে গুরুতর আহত অবস্থায় জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে ওঠায় তড়িঘড়ি কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাদের।
আরও পড়ুন: ‘৪০-৫০টি আসনে কারচুপি করেছিল IPAC’, বিস্ফোরক! শেষ দফা ভোটের আগে বিরাট পদক্ষেপ শুভেন্দুর
এদিনের এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের দেখতে গিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস সহ শওকত মোল্লা। এদিনের বোমা বিস্ফোরণে আহত তৃণমূল কর্মী হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই জানিয়েছেন,’রাস্তা দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলাম। ওরা আমাদের মিছিলের ওপরেই হামলা করে। প্রায় তিরিশটার মতো বোমা মেরেছে। আমার পা ঝলসে গিয়েছে।”
অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবি তুলে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেছেন, ‘রাজনৈতিকভাবে না পেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সন্ত্রাস তৈরি করছে নওশাদ সিদ্দিকি। ৫ জন গুরুতর আহত। একটা শিশুও আহত হয়েছে।’
একই সুর সায়নী ঘোষের গলাতেও। গতরাতে হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়েই সংবাদমাধ্যমে সায়নী বলছেন, ‘আইএসএফের পায়ের তলার থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, সেটা বুঝেই হামলা করছে। বাড়ি বাড়ি ভোটের স্লিপ দিতে গিয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে এই হামলা চালানো হয়েছে।’