ইন্দ্রানী সেন, বাঁকুড়া: লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বাঁকুড়া জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রকাশ ভোট পরবর্তী হিংসায় বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরামপুর গ্রামে মৃত্যু হল জনের। মৃতের নাম তন্ময় সাঁতরা (৪০)। বিজেপির তরফে মৃত তন্ময় সাঁতরাকে নিজেদের কর্মী দাবী করে এই খুনের পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা যুক্ত বলে দাবী করা হয়েছে। দুষ্কৃতিদের গ্রেফতারের দাবীতে শুক্রবার সকাল থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে জয়পুর থানা ঘেরাও করে ডেপুটেশন দেন স্থানীয়রা।
এদিন জয়পুরের বিরামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে রয়েছে। সাথে সাথেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীন বিশপ সরকার ও জয়পুর থানাতেই রয়েছেন। মৃতের স্ত্রী অলকা সাঁতরা বার বার তার স্বামীকে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের লোকেরাই যুক্ত বলে দাবী করেন। বৃদ্ধা মা ষষ্ঠী বালা সাঁতরাও ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ। শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে ছেলেকে খুন করা হয়েছে দাবী করে এই ঘটনায় যুক্ত প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
বিজেপি নেতা আইজুল রহমান ও গোপাল রায় এই ঘটনার পিছনের তৃণমূল যুক্ত দাবী করে বলেন, ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন গ্রামে দলের পতাকা লাগানোর সময় উপস্থিত তন্ময় সাঁতরাকে ধারালো অস্ত্র ও রড দিয়ে আঘাত করা হয়।বৃহস্পতিবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয়। যে সমস্ত তৃণমূল কর্মী এই খুনের পিছনে রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা না হলে থানা ঘেরাও কর্মসূচী চলবে বলে বিজেপির তরফে দাবী করা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই খুনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা ও জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ইয়ামিন শেখ বলেন, তন্ময় মণ্ডল কোন রাজনৈতিক দলের সদস্ত ছিলেন না। উনি একজন শিল্পী। বিজেপির লোকেরাই তৃণমূলের এক কর্মীকে মারার জন্য তাড়া করছিল। সেই সময় উনি ঐ গণ্ডগোলের মাঝে পড়ে যান। অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে মিশে সিপিএম এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশপ সরকার বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যাবে।