বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। অন্যদিকে, দিন কয়েক আগেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে সেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। সংখ্যালঘু ভোটাররাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে শাসকদলের থেকে। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ঘটনার মাসখানেক মতো হতে চললেও এখনও সেই নিয়ে থামেনি চৰ্চা।
অন্যদিকে, এরই মধ্যে সামনে আরেক কাহিনী। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘিতে (Sagardighi) কিছু উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা না আসাকে কেন্দ্র করে নতুন করে শুরু রাজনৈতিক তরজা। এই বিষয়কে হাতিয়ার করেই শাসকদলকে জোর কটাক্ষ করেন টুইট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এরই পাল্টা শুভেন্দুকে ‘রাজনৈতিক বেজন্মা’ বলে নজিরবিহীন আক্রমণ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘির উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা জমা না পড়ায় সেই নিয়ে শাসকদলকে তোপ দাগে বিরোধীরা। গোটা এই বিষয়কে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কং নেতার দাবি, সাগরদিঘিতে হারের পরই উপভোক্তাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় কোপ পড়েছে সরকারের।
এই নিয়েই অধীরের সঙ্গে একই সুরে সুর মেলান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন,”লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না জমা পড়লেও নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কোনও চিন্তা নেই। দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনৈতিকভাবে অন্য বরাদ্দের টাকা অথবা কোষাগার শূন্য করে হলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেবে।”
থেমে থাকেনি তৃণমূল কংগ্রেসও। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা জমা না পড়া নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই টুইটের পাল্টা আক্রমণ কুণাল ঘোষ বলেন, ”শুভেন্দু অধিকারীর কথার উত্তর দেওয়ার কোনও মানে নেই। সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। সারদা-নারদায় অভিযুক্ত। সারদায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে থাকা মাল। একটা রাজনৈতিক বেজন্মা, চার্জশিট থেকে বাঁচতে এই ধরনের কুৎসা করে চলেছে। ওতো নিজেও একসময় এই মন্ত্রিসভার সদস্য ছিল। এখন গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপি যেমন বলছে তেমন ঘেউ ঘেউ করে চলেছে।”
অবশ্য অধীরবাবুর উদ্দেশে তিনি বলেন, ” তৃণমূল কখনও দল দেখে রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেয় না। যার সব থেকে বড় প্রমাণ দিলীপ ঘোষের পরিবার। যারা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়েছেন। আর অধীরবাবুকে ধন্যবাদ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা না পড়া বিষয়টিকে নিয়ে তিনি আন্দোলন করে বুঝিয়ে দিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মানুষের উপকারে লাগে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে হয়ত টাকা জমা পড়েনি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
বিরোধী দলনেতাকে বেনজির আক্রমণ প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ”এতে তো একটাই কথা বলা যায়। কুণাল ঘোষ একজন জেল খাটা কয়েদি। তার কথায় কেন উত্তর দেব। ওদের পুরো দলটাই তো অপরাধীদের নিয়ে অপরাধীতে ভর্তি। আজকে একে ডেকে পাঠাচ্ছে ইডি সিবিআই। নীচ থেকে উপর, এর বউ এর শালী সবাইকে দুর্নীতি মামলায় ডাকা হচ্ছে। পুরো পরিবার দুর্নীতিতে ডুবে। উনি আবার যা বলছেন, তা হুবহু দুর্নীতিতে গ্রেফতার ১০০ কোটির মালিক কুন্তলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। ওকে নিয়ে কোনও কথা বলতেই চাই না।”