‘BSF কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করুক, ওকে ঘাড় ধাক্কা…,’ ওয়াকফ নিয়ে উত্তপ্ত আবহেই বিস্ফোরক অর্জুন সিং

Last Updated:

বাংলাহান্ট ডেস্ক ঃ ওয়াকফ আইন সংশোধনের ( Waqf Amendment Bill 2025 ) প্রতিবাদে যে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) একাধিক জায়গায় তা নিয়ে আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয়  নিয়েছেন বহু বাসিন্দা। সুতি,সামসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে লাগাতার বিক্ষোভ,অগ্নি সংযোগ,ভাঙচুরের মতো ঘটনা নজরে এসেছে। ওয়াকফ নিয়ে উত্তপ্ত আবহেই কুণাল ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের জবাবে চড়াও হন প্রাক্তন বিজেপি নেতা অর্জুন ঘোষ।

মুর্শিদাবাদের এই বেলাগাম তান্ডবের জন্য কারা দায়ী ? নেপথ্যে কারা ?

এই পরিস্থিতি নিয়ে আগে থেকেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বাংলাকে বদনাম করতেই মুর্শিদাবাদে গন্ডগোল করানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এবার তার বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন অর্জুন সিং। তিনি দাবি করেন, ‘ কুণাল ঘোষ বলেছেন , বাংলাদেশের ক্রিমিনালদের নিয়ে এসে বিএসএফ (BSF) ঢুকিয়ে অপরাধ করিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। এরকম বলতে পারে… এটা তৃণমূলেই সম্ভব। ইউনূস তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই। এ ধরনের কথা যে বলেছে তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো হোক। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীদের কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করা দরকার। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে জেরা করানো দরকার। কোন কোন জায়গা থেকে আমরা বাংলাদেশের ক্রিমিনাল ঢুকিয়ে অশান্তি করছি তার জবাব দিতে হবে । মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও (Mamata Banerjee) একই ভাবে জড়িত।’

অর্জুন সিং-র (Arjun Singh) মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে কুণাল ঘোষ তার এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন, ‘ ওয়াকফ বিল তারা গায়ের জোরে পাশ করেছেন। তৃণমূল এর বিরেধিতা করেছে বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার সবার আছে কিন্তু এমন বিক্ষোভ দেখাবেন না যাতে বাংলার এবং বাংলার মানুষের ক্ষতি হয়।’ তিনি আরও বলেন , ‘ পড়শি দেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতির দল তারাই হয়ত মুর্শিদাবাদের বিক্ষোভের ভিড়ে মিশে হামলাগুলো করে গিয়েছে । যখন আমরা এটা নিয়ে তদন্তের দাবি করেছি ,তখন বলা হচ্ছে সীমানা পেরিয়ে দুষ্কৃতীদের দল লুঠপাট করে পালিয়ে গিয়েছে ‘।

মুর্শিদাবাদে গন্ডগোল করানো হয়েছে বলে দাবি কুণালের, নিশানায় BSF ও BJP

কুণাল ঘোষ এর আগে বলেছিলেন, ‘মুর্শিদাবাদের জায়গাগুলিতে হিংসাস্মক ও আক্রমণাত্মক ঘটনাগুলি ঘটেছে, সেখান থেকে অভিযোগ আসছে যে, বিএসএফ-এর একাংশের সহযোগিতায় পড়শি সীমান্ত থেকে কিছু হামলাকারীকে ঢুকিয়ে বাংলাকে বদনাম করার জন্য, প্ররোচনা দেওয়ার জন্য এই অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি করানো হয়েছে। যারা গন্ডগোল করেছে, তাদের মূল চক্রীদের এলাকার মানুষ চিনতে পারছেন না। যারা অশান্তি করেছে নিশ্চয়ই পুলিশ তাদের মতো করে ধরছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড যারা,তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ  আসছে যে, এরা কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের অংশ, কেন্দ্র নির্দিষ্ট কিছু এজেন্সির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বা নিজেদের কোনও এজেন্সির পরিচালনায়, একটা গোপন  মাধ্যমে এহেন কাজ করিয়েছে, আবার সময় মতো তাঁদের সরিয়ে নিয়েছে।”

Shreya Mondal

শ্রেয়া মন্ডল, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপনে স্নাতকোত্তর। বিনোদন, লাইফস্টাইল, অফবিট খবর লেখায় সাবলীল।

X