বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)! কিছুদিনের অপেক্ষা মাত্র। এহেন পরিস্থিতিতে ভোটের আগে জনসংযোগ গড়ে তুলতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এবার আসন্ন পঞ্চায়েতকে পাখির চোখ করে নয়া কর্মসূচী ‘সংযোগ যাত্রা’ নিয়ে হাজির শাসকদল, তৃণমূলের নব জোয়ার। রাজ্যবাসীর সঙ্গে জনসংযোগ গড়তে আগামী দু’মাস ধরে জেলায় জেলায় ঘুরবেন তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পৌঁছে যাবেন সাধারণ মানুষের কাছে, প্রত্যন্ত গ্রামে কাটাবেন রাত।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যুবরাজ জানালেন আগামী ২৫ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এই নয়া কর্মসূচি। যা দুমাস ধরে গোটা রাজ্য জুড়ে চলবে। দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এই কর্মসূচী। যার একটি জন সংযোগ যাত্রা, অপরটি গ্রাম বাংলার মতামত। এদিন একথাই জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয়, এক অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচীর মাধ্যমে। কী তা? অভিষেক জানিয়েছেন এবার সাধারণ মানুষই বেছে নেবেন নিজেদের প্রতিনিধি৷ কাকে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাইছেন সেই মুখ বাছাই করবেন আম জনতাই। এই বিষয়ে অভিষেক বলেন, “আমার মনে হয় পঞ্চায়েত হচ্ছে সমাজের শিড়দাঁড়া। সেই পঞ্চায়েে আগামীদিন কে প্রার্থী হবে সেটা রাজনৈতিক দলের থেকেও মানুষের ঠিক করা উচিত৷ আমরা চাইছি মানুষ তাদের প্রতিনিধি তারা নিজেরাই ঠিক করুক।”
যুবরাজের সংযোজন, “এই নবজোয়ার যখন আসবে, তখন নির্ভয়ে নির্লোভে তারা আগামী ৫ বছর কাজ করবে।” তার কথায়, “আমি বারবার বলেছি আগমিদিনে পঞ্চায়েতে গণতান্ত্রিক, অবাধ, শান্তিপূরণ নির্বাচন হবে। মানুষ নিজের ভোটাধিকার নিজে প্রয়োগ করবেন। আমার মানুষের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী ঠিক করবো।” তার কথায়, “ক্যাম্পে ৩-৪ হাজার করে লোককে ডাকা হবে। গোপন ব্যালটে তাদের ভোট নেওয় হবে৷ কোন পঞ্চায়েত থেকে আসছেন, কাকে প্রার্থী দেখতে চান সেই নিয়ে তারা ভোট দেবেন।”
এই প্রসঙ্গেই বিশদে অভিষেক বলেন, “টানা ২ মাসের বেশি সময় ধরে গোটা রাজ্য জুড়ে এই কর্মসূচি চলবে। ২৪ তারিখ বিকেলে কলকাতা থেকে বেরিয়ে একেবারে চলে যাব কোচবিহার। মদনমোদন মন্দিরে যাব, তারপর দিনহাটা যাব৷ সকাল ১০টা-১১টা থেকে শুরু হয়ে যাবে আমাদের কর্মসূচী। প্রচন্ড গরমে দিনে ৪-৫টা করে জনসভা সেরে ক্যাম্পে ফিরব। এরপর ক্যাম্পে বৈঠক হবে। সমস্ত বুথ সভাপতিকে ডাকা হবে। এলাকার বিশিষ্ঠ মানুষদেরও ডাকা হবে, ডাকা হবে সমাজসেবীদেরও। এই ভাবেই কর্মসূচী চলবে। রোজ আমাদের সাধ্য মতো নৈশ্যভোজের ব্যবস্থা থাকবে।
আগামী দুমাস কলকাতায় ফিরব না।”