বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ এই মুহুর্তে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনকী বন্দি দশায় জীবন কাটাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির মানিক ভট্টাচার্যও। যা নিয়ে চূড়ান্ত শোরগোল অব্যাহত রাজনৈতিক মহলে। ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে শাসক তৃণমূলের (Trinamool Congress)। এরইমধ্যে আবারও চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি চাকরি। তাতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ল এলাকার বাসিন্দারা। পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয় অভিযুক্তকে নেতাকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রামে আমদাবাদ দু’নম্বর অঞ্চল ১৭৬ নম্বর রানিচক বুথে।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সঞ্জু গুড়িয়া। বিশেষ সূত্রে খবর, জল প্রকল্পে চাকরি করে দেওয়ার নামে এলাকায় মানুষের কাছে টাকা তোলেন তিনি। কিন্তু চাকরি তো হয়নি। এমনকী যে টাকা নিয়েছিলেন তাও আর ফেরত পাওয়া যায়নি। যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা এর আগে একাধিকবার তাঁর কাছে টাকা চাইলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই রাগেই এদিন অভিযুক্ত সঞ্জু গুড়িয়াকে গাছে বেঁধে পেটাল গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর যায় পুলিসে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিস। পুলিসই বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক অভিযোগকারী গ্রামবাসী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেয় জল প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার নাম করে। বলেছিল ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে চাকরি দিয়ে দেবে। তারপর ইন্টারভিউ হবে। নিয়োগ হয়ে যাবে। তারপর থেকে ২ বছর কেটে গেল। কিন্তু চাকরির দেখা নেই। ও রাণীচকের ১৭৬ নম্বর বুথের সভাপতি।’ এদিকে মারমুখী জনতার সামনেই নিজের ভুল স্বীকার করতেও দেখা যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। তিনি বলেন, “ও যেটা বলছে সেটা ঠিক। গ্রাম পঞ্চায়েতে আলোচনার পরে দলকে টাকা দেওয়া হয়। পার্টি ফান্ডেই গিয়েছে টাকা।’
এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিরুলিয়ায় বিজেপির মন্ডল সভাপতি অরূপ জানা বলেন, ‘গোটা তৃণমূল দলটাই চোর ডাকাতে ভরে গিয়েছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গজুড়েই এরা ছড়িয়ে আছে। পুরো দলটাই পচে গিয়েছে। এদেরকে দ্রুত দেশছাড়া করতে হবে।’ যদিও এ প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জোড়াফুল শিবিরের পক্ষ থেকে। নন্দীগ্রাম ২-এর প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহাদেব বাগকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।