বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাতের অন্ধকারেকে হাতিয়ার করে চলছে দেদার মাটি (Soil) চুরি। এমনই অভিযোগ উঠে এল মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেনের বিরুদ্ধে। অপরদিকে রফিকুল আবার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও। মাটি চুরির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি (INTUC)। চাঁচল থানায় (Chanchal Police Station) লিখিত অভিযোগও জনিয়েছেন চাঁচল ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কাজি আতাউর রহমান। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল।
জমি থেকে বা নদী থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কাটা যাবে না। এই নির্দেশ দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অভিযোগ উঠছে তারপরও সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টারে করে কেটে নেওয়া মাটি পাচার হচ্ছে। অভিযোগ, সেই মাটি যাচ্ছে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির বাড়ি নির্মাণের জন্য জমি ভরাটের কাজে।
জানা যাচ্ছে, চাঁচলের আসরাইল এলাকার একটি চাষের জমি থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে ট্রাক্টরের করে বোঝাই করে নিয়ে এসে সেই মাটি চাঁচলের আদর্শ পল্লি এলাকায় রফিকুল হোসেনের জমি ভরাটের জন্য ফেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। তবে এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদমাধ্যম। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে জমি থেকে জেসিপি দিয়ে মাটি কেটে সেই মাটি ট্রাক্টারে করে তুলে আনা হচ্ছে।
চাঁচলের এক বাসিন্দা অনিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রশাসনের কড়া নির্দেশ রয়েছে মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। আর সেই মাটিই রাতের অন্ধকারে কেটে ট্রাক্টারে করে পাচার হয়ে যাচ্ছে। রফিকুলের জমি ভরাটের কাজে সেই মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা মাটির জন্য বাড়ির কাজ করতে পারছি না। সেখানে সভাধিপতি কী ভাবে কাজ করছেন? ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তিনি। আমরা চাই এই মাটি কাটা এখনই বন্ধ করা হোক।’
মাটি চুরির বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে চাঁচল এক নম্বর ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্বও। চাঁচল ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কাজি আতাউর রহমান বলেন, ‘গরু চোর, চাকরি চোরের পর এবার মাটি চোর। নির্দেশ রয়েছে মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নিয়ম সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত। স্বয়ং জেলা পরিষদের সভাধিপতিই ক্ষমতার এইরকম অপব্যবহার করছেন। প্রশাসনের মদতে রাতের অন্ধকারে পাচার হয়ে যাচ্ছে মাটি। আমরা এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছি।’