বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেলের গন্ডি পেরিয়ে দু’বছর পর বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তারপর থেকে বাড়িতেই বিশ্রামে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। মাঝে শুক্রবার গ্রামের বাড়ির দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন কেষ্ট। তারপর এদিন সকালে তিনি তার বোলপুরের বাড়ি থেকে কঙ্কালীতলায় যান। কঙ্কালীতলার মন্দিরে ভক্তি ভরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তার পরিবারের সদস্যদের নাম পুজো দেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তার মেয়ে সুকন্যা।
গরু পাচার মামলায় ছাড়া পাওয়ার পর নিজের বাড়িতে ফিরে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন অনুব্রত। এদিনও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। এদিন কঙ্কালীতলার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বীরভূমের বাঘ। পুজো দিয়ে কেষ্ট বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঙ্কালীতলা, ফুল্লরা, তারাপীঠ, পাথরচাপুড়িতে টাকা দিয়েছিলেন। উন্নয়ন কিছুটা বাকি রয়েছে। দীপাবলির পর সেই কাজ হয়ে যাবে।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। টানা দুবছর জেল বন্দি থাকার পর দুর্গাপুজোর ঠিক আগে তিহাড় থেকে বোলপুরে ফিরতে পেরেছেন। তবে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার শরীর ভালো নেই। একদিকে যেমন ওজন কমে অর্ধেক হয়েছে তেমনই অন্যদিকে পায়ে সমস্যা থাকায় হাঁটতেও কষ্ট।
টানা দু’বছর জেলবন্দি থাকার পর মঙ্গলবার বোলপুরের নিচুপট্টিতে নিজের বাড়িতে ফেরেন অনুব্রত। নেতাকে সুরক্ষা দিতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ছিল গোটা এলাকা। কেষ্টকে চোখের দেখা দেখতে নেতা, মন্ত্রী সহ বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তার বাড়ির বাইরে ভিড় জমান।
আরও পড়ুন: এবার ‘দুয়ারে ডিম-ভাত’, পুজোর আগেই দুর্দান্ত উদ্যোগ রাজ্যের, ধন্য ধন্য করছে সাধারণ মানুষ
ফের কবে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ফিরছেন অনুব্রত? মঙ্গলবার বাংলায় ফিরেও অনুব্রত বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন। দু’জনার মধ্যে বৈঠক নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে ছিল। তবে মঙ্গলবার জেলায় গিয়েও কেষ্টর সঙ্গে দেখা করা বা তার কথাও উল্লেখ করেননি দলের সুপ্রিমো। এরপর বৃহস্পতিবার বোলপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন অনুব্রত। জানিয়ে দেন কালীপুজোর পর তিনি যাবেন ব্লকে ব্লকে।