বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে পুলিশকে ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ। বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে (Liton Halder) ‘হুমকি ফোন’ করার অভিযোগ উঠেছে কেষ্টর বিরুদ্ধে। দলের নির্দেশ মতো নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক থামেনি। এই আবহে ফের অনুব্রতকে নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
‘হুমকি কাণ্ডে’র পর আরও চাপে কেষ্ট (Anubrata Mondal)?
বোলপুর থানার আইসির পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী, মা-কে উদ্দেশ্য করে কুকথা বলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে সক্রিয় হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এর মধ্যে কমানো হল অনুব্রতর নিরাপত্তা।
জানা যাচ্ছে, এতদিন অবধি কেষ্টর গাড়ির আগে একটি পাইলট কার ও পিছনে দু’টি এসকর্ট গাড়ি থাকতো। মোতায়েন করা ছিল প্রায় ১৬ জন সশস্ত্র পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী। নিরাপত্তার স্বার্থে ওয়াকিটকির মাধ্যমে তাঁরা যোগাযোগ রাখতেন।
আরও পড়ুনঃ স্লটহারা পরিণীতা, পরশুরাম-জগদ্ধাত্রী-ফুলকি কোথায়? একনজরে লেটেস্ট TRP তালিকা
গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে গত বছর জেল থেকে বাড়ি ফেরার পরেও তৃণমূল (TMC) নেতা ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন। সুরক্ষার জন্য নিচুপট্টির বাড়িতে সবসময় ৪-৬ জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী থাকতেন। তবে এবার তা কমিয়ে দেওয়া হল বলে খবর।
এই বিষয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ কোনও মন্তব্য করতে চাননি বলে খবর। রিপোর্ট বলছে, কেষ্টকে ফোন করা হলেও তিনি কিছু জানাননি। এমনকি বীরভূম জেলায় শাসকদলের কোর কমিটির সদস্যরাও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের একজন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদনের দাবি, ‘রাজ্য থেকে নির্দেশ আসার পরেই অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আগে বিশেষ কালো পোশাকে থাকতেন। তবে এখন পুলিশের খাকি পোশাকে থাকবেন। তাঁদের সংখ্যাও কমানো হয়েছে’।
উল্লেখ্য, আইসি-কে ‘হুমকি কাণ্ডে’র পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁকে নিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এবার জানা গেল, কেষ্টর নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়ার কথা। পুলিশকে ‘হুমকি ফোনে’র জেরেই কি এই সিদ্ধান্ত? অনেকের মনে দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন।