বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুবছর পর জেল থেকে বাড়ি ফিরেছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এ বছর দুর্গাপুজো(Durga Puja 2024) মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে বাড়িতে কাটাবেন তিনি। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। টানা দুবছর জেল বন্দি থাকার পর দুর্গাপুজোর ঠিক আগে তিহাড় বোলপুরে ফিরতে পেরেছেন। গত দুবার না থাকতে পারলেও এবার ধুমধাম করে নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে তার গ্রামের বাড়িতে পুজো হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে কেষ্ট শোনালেন অন্য কথা।
গ্রামের বাড়ি গিয়ে ‘আবেগী’ অনুব্রত
বোলপুরে ফিরে গত শুক্রবার মেয়েকে সঙ্গে করে নিজের গ্রামের বাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সেখানেই আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে কেষ্ট বললেন, এখন আর আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই এবারের পুজোয় আর লোক খাওয়ানো সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, কেষ্টর গ্রামের বাড়িতে প্রতিবার ধুমধাম করে মায়ের আরাধনা করা হয়।
প্রতিবছর অনুব্রতর বাড়ির পুজোয় নিয়মিত ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষজন পেট ভরে খাওয়াদাওয়া করেন। তবে এবার সেই রীতি পালন হবে না বলেই জানালেন অনুব্রত। ওদিকে এত দিন পর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাছের মানুষজনকে চোখের দেখাতে আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন অনুব্রত।
দুর্গাপুজোর জন্য গ্রামের বাড়িতে যে দুর্গামূর্তি তৈরী হচ্ছে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন কেষ্ট। মূর্তিতে প্রণাম করার সময় তার চোখের কোণে জমে রয়েছে জল। এতদিন পর গ্রামবাসীরা তাকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। পরিবারের সদস্য সহ সকলেই নেতাক প্রণাম করেন। সকলের খোঁজ-খবর নেন কেষ্ট। তবে রক্তের সম্পর্কগুলো আর রাখতে চান না বলেই জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার হুমকির জের! এবার বড়সড় বিপাকে তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর
অভিমানের সুরে অনুব্রত বলেন, “পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে আর রক্তের সম্পর্ক রাখতে চাইছি না। আমার দাদু, বাবাদের জন্ম এখানেই তাই পৈতৃক বাড়ির প্রতি আলাদাই টান। পুজোর সময় প্রতিদিনই আসব, মায়ের আশীর্বাদ নেব। এবার আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ বলে প্রতিবারের মতো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হবে না। তবে গ্রামের সকল গরিব মানুষদের সঙ্গে নিয়ে হবে পুজো হবে।”