বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে বিতর্ক শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কটূ বাক্য, গালিগালাজ এবং মারধরসহ হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের ছাত্রনেতা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। সোশ্যল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে তাদের এই আচরণে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
এবার শেষমেশ গ্রেফতার হলো এই কাণ্ডে অভিযুক্ত টিএমসিপির প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। যদিও, অভিযুক্ত গিয়াস নিজেই দাবি করেছেন যে, তিনি এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। দুদিনের মাথায় তাকে গ্রেফতার করল টেকনো সিটি থানার পুলিশ। গ্রেফতারির মাত্র কিছুসময় আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষমা চাইলেও শেষরক্ষা হয়নি।
উপাচার্যকে গালিগালাজ ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আজ নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয় গিয়াসউদ্দিনকে। নিউটাউনের দিল্লি পাবলিক স্কুলের পাশে একটি মেসে থাকত সে এবং এদিন মেস থেকে বের হতেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।
ভাইরাল ভিডিওতে উপাচার্যকে ‘তুই তোকারি’ করে কটূ বাক্যে গালিগালাজ করে সে। উপাচার্যকে লক্ষ্য করে বলতে শোনা যায়, “এবার ডাক, এখান থেকে তুই ফোন কর, আলিয়ার বেহাল অবস্থা কে করেছে? আলিয়ার বেহাল এই অবস্থা করার জন্য তুই..।” খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি সে বলে, ” বাঁদর চড়ানো। আমার চড় অনেক লাগে। যে কটা তোর ছেলে আছে, জিজ্ঞেস করবি।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, এই ঘটনার পূর্বে তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগে গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে বহিষ্কার করা হয়। এর কয়েক দিনের মধ্যেই কয়েকজন বহিরাগতকে নিয়ে শিক্ষাপ্রাঙ্গণে ঢুকে ঘেরাও করে উপাচার্যকে। এবং তাঁকে বলা হয়, “আপনাকে আমি ফোন করলাম, সেই সময় যে আমার ছেলেগুলো সাসপেন্ড হয়েছে স্যার। এই আমি বেশি কথা বলতে চাই না তোমার সঙ্গে। আজকে আপনি শুনছেন। আপনি আমাকে চেনেনই না ঠিক মতো?”
ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আর ভিডিও সামনে আসতেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর এবং ছাত্রছাত্রীরা এর প্রতিবাদে অবরোধ করবে বলেও জানা যাচ্ছে।