বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার রাতে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া থেকে বিহারের এক পুলিশ টিম তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ সরকারকে গ্রেফতার করে। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ সরকার বিধাননগর-২ এর অঞ্চল সভাপতি। বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে নকল মদ তৈরি করে বিহারে পাচার করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যদিও, বিশ্বজিৎকে নিজের দলের লোক বলতে রাজি নয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এক বছর আগেই বিশ্বজিৎকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে তাঁর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের।
সূত্র অনুযায়ী, শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকার। এলাকার মানুষ তাঁকে দাপুটে তৃণমূল নেতা বলেই চেনে। বিশ্বজিতের স্ত্রী তৃণমূলের টিকিটে একাধিকবার স্থানীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েছেন আর জয়ীও হয়েছেন। তিনি নিজের এলাকাতেই একটি নকল মদ তৈরি করার কারখানা গড়েছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি নিজের কারখানায় মদ তৈরি করে, সেই মদ বিহারে পাচার করে দিতেন। বিশ্বজিতের নামে বিহারের একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের রয়েছে।
বিশ্বজিৎকে পাকড়াও করতে প্রায় ১৫ দিন ধরে বিহার পুলিশের একটি টিম বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। অবশেষে সোমবার গভীর রাতে তাঁরা সাফল্য হাসিল করে। বিশ্বজিৎকে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া থেকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। এরপর তাঁকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের জন্য বিশ্বজিৎকে বিহার পুলিশ ট্রানজিট রিমান্ডে পাঠায়। এরপর বিহার পুলিশ তাঁকে নিজ রাজ্যে নিয়ে যায়।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা তৃণমূল নেতা কাজল ঘোষ বলেন, ‘বিশ্বজিৎকে একবছর আগেই তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। আইন ঠিক করবে বিশ্বজিতের কী সাজা হবে। আমরা এরমধ্যে নেই।”