বাংলাহান্ট ডেস্ক : রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন গোটা রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার। তারপরই পুলিশি অভিযানে বহু জায়গা থেকেই উদ্ধার হয়েছে বোমা সহ বিভিন্ন সন্দেহজনক জিনিস। এবার নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হল গুলি সহ আগ্নেয়াস্ত্র। জানা যাচ্ছে ওই নেতা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট মহকুমা আদালত।
দিন দুয়েক আগেই গুলি করে তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল হাঁসখালি। এবার সেখান থেকেই গুলি এবং আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। জানা যাচ্ছে ধৃতের নাম রথীন মল্লিক।
ঘটনাটিকে ইস্যু করে কার্যতই সোচ্চার হয়েছে নদিয়ার বিজেপি শিবির। রানাঘাট উত্তর পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অসীম বিশ্বাসের দাবি, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রয়েছে। এলাকায় অশান্তি করবার জন্য, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ত্রের আমদানি করা হয়। এরা প্রতিনিয়ত বিজেপির ওপর আক্রমণ করছে। পঞ্চায়েত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের সময় বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্যই এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে।’
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূলও। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটর দীপক বসুর কথায়, আইন আইনের পথেই চলবে। তিনি জানিয়েছেন,’হাঁসখালিতে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেপ্তার হয়েছে। বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার অধিকার কারও নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতই আইন আইনের পথে চলবে। তবে মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে, এটাই আমাদের মূল বক্তব্য।’
ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ওই তৃণমূল নেতার কাছে কোন পথে এল ওই আগ্নেয়াস্ত্র, কেনই বা গুলি এবং আআগ্নেয়াস্ত্র রাখছিলেন তিনি তা সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাঁসখালি থানার তরফে।