বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিতর্কিত অডিও ক্লিপিং ফাঁস দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বদলে তরুণীকে “খুশি” করার প্রস্তাব! চাকরিপ্রার্থী তরুণী ও দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলের ফোনের কথোপকথনে অডিও ও ভিডিও ক্লিপিং এখন রীতিমতো ভাইরাল। চেয়ারম্যান ও চাকরিপ্রার্থী তরুণীর ফোনের কথোপকথনকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গরিব কৃষক পরিবারের তরুণী কিছুদিন আগে দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান তথা অগ্রদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক শিশির মণ্ডলকে ফোনে যোগাযোগ করেন। ফোনের সেই অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, তরুণী চেয়ারম্যানকে একটি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করছেন। এরপর চেয়ারম্যান তরুণীকে বায়োডাটা সহ দেখা করতে বলেন।
তখন তরুণী বলেন যে তিনি ওই মুহূর্তে কৃষ্ণনগরে মাসির বাড়িতে রয়েছে। এরপর ওই চেয়ারম্যান তরুণীকে সরাসরি শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল ওই তরুণীকে কৃষ্ণনগর স্টেশন লাগোয়া একটি হোটেলে আসতে বলেন। ৩০ মিনিটের এই কথোপকথনে চেয়ারম্যান তরুণীর অন্তরবাস সম্পর্কেও আলোচনা করতে থাকেন।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছেন শিশির মণ্ডল। চাকরির জন্য কোন তরুণী তাকে যে ফোন করেছিল সেটি তিনি স্বীকার করে নিলেও, তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তার দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি প্রয়োজন হলে আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও জানিয়েছেন।
তবে চাঞ্চল্যকর এই কথোপকথনকে ঘিরে তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেত্রী বিনীতা বড়াল এই ঘটনার তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেছেন, “ভাইরাল হওয়া ফোন কল সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।”