বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এলাকাবাসীর নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে বন্যাত্রাণের টাকা আত্মসাৎ করছেন তৃণমূল (tmc) নেতা, এমনই অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা। শুধুমাত্র অভিযোগই নয়, তাঁর উপর চড়াও হয়ে গণপিটুনিও দিতে শুরু করে। তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতে গিয়ে দু এক ঘা মারও খেতে হয় পুলিশকে।
এমনটাই ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপালমোড় এলাকায়। ঘটনাটা হল, উত্তর মালদায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেই সময় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের ৭০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্থদের ৩৩ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।
সেই মর্মে ১৪ হাজার মানুষকে ক্ষতিপূরণ দিলেও, তাঁরা দাবি জানায় এই অর্থ তাঁরা পায়নি। এই বিষয়ে কংগ্রেসের মোস্তাক আলম কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। দেখা যায়, বেশকিছু মানুষের অ্যাকাউন্টে দুবার, আবার কারো ৩ বারও টাকা ঢুকেছে। আবার অনেকের মোবাইল নম্বরও একই দেওয়া রয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে ভর্তসনা করে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেয় আদালত।
এই ঘটনার দায় রাজ্য সরকার স্বীকার করে নেয় এবং হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সোনামণি সাহা-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। এই কেসে মোট দুর্নীতিগ্রস্থ অর্থের পরিমাণ মোট ৭৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ স্থানী তৃণমূল নেতা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তৃণমূল নেতা কুণালকান্তি রায়কে দীর্ঘদিন ধরে না পাওয়ার পর, আজ তাঁকে দেখতে পেয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। দিতে থাকে গণপিটুনিও। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। তবে এই ঘটনায় বিরোধীদের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি।