বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনও অনেকের মনে টাটকা। সেই রেশ পুরোপুরি কাটার আগে ফের একবার গুলি চলল শীতলকুচিতে (Sitalkuchi)। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) আবহে আবারও রক্তাক্ত হয়ে উঠল এই জায়গা। এবার আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার লালবাজার চৌপতিতে সাংগঠনিক বৈঠক সেরে গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতার হাঁটুর ওপর গুলি লাগে। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তিনি এখন বিপদ মুক্ত। তবে তৃণমূল শিবিরের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধানের ওপর হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গেরুয়া শিবিরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলেও, তাদের তরফ থেকে এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে এমনটা হয়েছে। আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এখন বিজেপিকে ‘ভিলেন’ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মাঝে ফের রাজ্যে CBI হানা! স্ক্যানারে এই দুই তৃণমূল নেতা, নাম ফাঁস হতেই তোলপাড়!
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে রাজ্যের শাসক দল আবার সঠিকভাবে পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছে। সব মিলিয়ে, ভোটের আবহে ফের একবার রক্তাক্ত হয়ে উঠল শীতলকুচি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ওপর এই হামলা ঘটনা নিয়ে আপাতত চলছে চর্চা।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটের সময় শীতলকুচিতে গুলি চলেছিল। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলি লাগে ৪ জন গ্রামবাসীর। প্রাণ হারান তাঁরা। অভিযোগ উঠেছিল, বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, তাঁরাই এই গুলি চালিয়েছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও এই নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে শীতলকুচিতে গুলি চালনার ঘটনার পর কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার আইপিএস দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করা হয়। পরবর্তীকালে সানপেনশন তুলে নেওয়া হলেও তাঁকে বাধ্যতামূলক ওয়েটিংয়ে রাখা হয়। দেবাশিসের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। চলতি লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। চাকরি ছেড়ে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছিলেন এই প্রাক্তন আইপিএস। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাঁর ভোটে লড়া আর হয়নি।