বাংলাহান্ট ডেস্ক : মদ্যপ অবস্থায় অন্তর্বাস পরেই স্ত্রী ও মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে চলেছেন এক ব্যক্তি। এহেন এক ভিডিও সামনে আসতেই কার্যতই বিতর্কের ঝড় রাজ্যজুড়ে। দিন কয়েক আগেই ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া মত্ত ব্যক্তি আর কেউ নন উত্তরপাড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সুমিত চক্রবর্তী। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে অন্তর্বাস পরেই ঘরের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই তৃণমূল নেতা। সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় চলছে স্ত্রী এবং মেয়েকে গালাগালি। রীতিমতো হুমকির সুর তাঁর গলায়। মেয়ের অনলাইন পরীক্ষার মাঝেই তাতে বাধা দিয়ে এই কান্ড চালাতে থাকেন তিনি। মেয়ে বারবার কাতর গলায় আবেদন করার পরও কাজ হয়নি কিছুই। দেখা যায় মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য খরচ বা বাকি কোনো দায়িত্ব নিতেও অস্বীকার করছেন ওই কাউন্সিলর। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে স্ত্রী এবং মেয়েকে। ঘটনার পুরো ভিডিওটিই নিজের মোবাইলে রেকর্ড করেন ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রী। ভিডিওর কথোপকথন থেকে বোঝা যায় ভিডিওটি ডিসেম্বর মাসের আগে কোনও সময় রেকর্ড করা।
অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী এবং মেয়ের উপর মানসিক নির্যাতন করেন সুমিত চক্রবর্তী। চরম অশ্লীল ভাষায় চলতে থাকে গালিগালাজ। জানা যাচ্ছে স্বামীর এরকম আচরণের কথা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে এর বিহিত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন ওই নেতার স্ত্রী। যদিও কোনো কিছুতেই কোনো ফল হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। কোনো অভিযোগেই কর্ণপাত না করে উলটে অভিযুক্তকে পুরসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে দল।
পুরো ঘটনাটি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূল নেতা সুমিত চক্রবর্তী। কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সরকারের তরফেও। এহেন গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও কেন ওই ব্যক্তিকে টিকিট দিল দল তা নিয়েই সরব বিরোধীরা। সামনেই পুরভোট। তার আগে এহেন ঘটমায় কার্যতই অস্বস্তিতে শাসক দল। যিনি নিজের আপনজনদের খেয়ালই রাখেন না তিনি ওয়ার্ডের মানুষের খেয়াল কী রাখবেন! আপাতত এই প্রশ্নই তুলছেন উত্তরপাড়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভিডিওটি ২০১৯ সালের শেষের দিকের। তখন পুলিশকে যোগাযোগ করতে না পেরে ভিডিওটি সংবাদমাধ্যমকে পাঠিয়েছিলেন নেতার স্ত্রী। সম্প্রতি ভাইরাল হয় সেটি।
Made in India