বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধাসভা ভোটের আগে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) ছেড়ে বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) যোগ দেওয়ার হিড়িক দেখা গিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পরই তাঁদের সবার মোহভঙ্গ হয়। আর তাঁরাই আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য লাইন দিতে শুরু করে। ইতিমধ্যে বিজেপির বহু নেতা, বিধায়ক তৃণমূলে গিয়ে যোগ দিয়েছেন। সোমবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষও তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তবে ঠিক উল্টো চিত্র ধরা পড়ল মালদায়।
সোমবার মালদহ পঞ্চায়েতের এক সদস্য শাসক দল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। একদিকে যখন বিজেপির বিধায়করা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তখন অন্যদিকে ওনার এমন পাল্টি মারায় অবাক সবাই। সোমবার মালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বাবলু ঘোষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ওনার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সাংসদ খগেন মুর্মু।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা দাবি করেন যে, বাবলু ঘোষের মতো আরও পঞ্চায়েত সদস্যরাও বিজেপিতে আসতে চাইছেন। আমরা খুব শীঘ্রই আবারও পঞ্চায়েত দখল করব। উল্লেখ্য, বাবলু ঘোষ এর আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপির নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাবলু ঘোষকে অপহরণ করার অভিযোগ তুলেছিল। বিজেপি অভিযোগ করেছিল যে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বাবলু ঘোষকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়েছিল।
তবে গত ২৪ আগস্ট বাবলু ঘোষ তৃণমূলের আশ্রয় থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগ করে। এরপর তাঁকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে সুরক্ষিত স্থানে রাখা হয়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ফিরে আসার পর বাবলু ঘোষ জানান, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার জন্য তৃণমূলের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তাঁকে অনেক প্রলোভনও দেখানো হয়েছে। শেষে চাপের সামনে মাথানত করে সে বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগ দেয়। তবে এখন সমস্ত ভয়ডর দূরে সরিয়ে রেখে ফের বিজেপির সঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার করেন তিনি।