বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে ২০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখা বিজেপি (Bharatiya Janata party) ৭৭ আসনে সীমাবদ্ধ হওয়া মাত্রই দলের নেতারা একে একে বেসুরো হয়ে পড়েন। যারা নির্বাচনের আগে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরাই আবার দলবেঁধে তৃণমূলে ফেরত যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে বসে। ২ মে ফল ঘোষণার পর একদিকে যেমন অনেক প্রভাবশালী বিজেপি নেতারা যেমন তৃণমূলে চলে গিয়েছেন, তেমনই অনেক কর্মী-সমর্থকরাও ফুল বদল করে নিয়েছেন। তবে এই দলবদলের পালার মধ্যে উল্টো চিত্র দেখা গেল মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে।
চারিদিকে যখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে, তখন মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের দীপক ঋষি শ্রোতের বিপরীতে গা ভাসিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।
২ মে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন দীপকবাবু। আর ওনার কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর পরাজয় হয়েছিল। এরপরই তিনি তৃণমূলে নাম লেখান। হরিশচন্দ্রপুরের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি অভিজিৎ কর্মকার, দীপক ঋষি ৩০০ জনকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই দীপকবাবুর মোহভঙ্গ হয় আর তিনি ফের বিজেপিতে ফেরত যান।
দীপকবাবু জানান, বিজপিই আমার পরিবার। আর এই কারণে আমি নিজের পরিবারেই ফিরে এলাম। তৃণমূলে যোগ দেওয়া আমার ভুল ছিল। আর সেই ভুল এবার শুধরে নিলাম। রবিবার হরিশচন্দ্রপুরে বিজেপির তরফ থেকে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেই সবার সামনে হাতজোড় করে ক্ষমা চান দীপকবাবু। রবিবারের এই অনুষ্ঠানে মালদহ জেলার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু সহ অনেক বিজেপি নেতাই হাজির ছিলেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী প্রাণ ভয়ে তৃণমূলে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। এখনও অনেক এই কাজই করছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অনেকেই আবার তৃণমূলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে বিজেপিতে ফেরত যাচ্ছেন। দীপকবাবুর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই হয়েছে বলে মত।