বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অস্বস্তি যেন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় বিগত বহুদিন ধরেই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। একইসঙ্গে তৃণমূল নেতার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও একাধিকবার তলব করে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে এবার নানুরের (Nanur) তৃণমূল নেতা কাজল শেখের (Kajal Sheikh) একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে প্রকাশ্যে এলো দলের গোষ্ঠী কোন্দল।
এক্ষেত্রে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া না দেওয়া হলেও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুব্রত বনাম কাজল দ্বন্দ্ব যে চরম আকার ধারণ করতে চলেছে, তা বলা বাহুল্য।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডলম পরবর্তীতে তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং আত্মীয়দের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও একাধিকবার তলব করে চলেছে ইডি। এই পরিস্থিতিতে পুরনো একটি বিষয় প্রকাশ্যে আশায় বিতর্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
অতীতের ইতিহাস ঘাটতে বসলে দেখা যাবে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কাজল শেখের সম্পর্ক কোন কালেই ভালো ছিলো না। অতীতেও একাধিকবার এই দুই নেতার মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে রানা সিংহকে দলে নেওয়ার কারণে অনুব্রতর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে কাজলের। পরবর্তী সময় একদিকে যখন কাজল শেখকে নানুরেই বেঁধে রাখার প্রয়াস করেন অনুব্রত মণ্ডল, আবার অপরদিকে তাঁর বিরুদ্ধেও একাধিক উপায়ে সরব হতে দেখা যায় কাজলকে।
এই বিতর্ক বাড়িয়ে এদিন নানুরের তৃণমূল নেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। কাজল শেখ লেখেন, “চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা, যদি না পড় ধরা।” পরবর্তীতে তিনি আরো লেখেন, “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডলকে উদ্দেশ্য করেই কাজলের এই বার্তা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র।
একইসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকার কারণে নানুরের বাইরে তথা বীরভূমের একাধিক প্রান্তে সংগঠন তৈরি করতে মরিয়া কাজল শেখ ও তাঁর অনুগামীরা। এক্ষেত্রে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে অনুব্রত বনাম কাজল দ্বন্দ্ব দলে কোন প্রভাব ফেলে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।