বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ছিলেন এলাকার ত্রাস ‘আকু ডাকাত’। তবে মাঝপথেই সেসব কাজ ছেড়ে দিয়ে হয়েছিলেন সমাজসেবী। কিন্তু তাঁর অতীত তাঁর পেছন ছাড়ল না। দুষ্কৃতীদের গুলিতেই প্রাণ হারালেন তৃণমূল (tmc) কর্মী তথা সমাজসেবী মোফাজ্জল হক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়ায়। ডাকাতি, খুন, তোলাবাজি, ছিনতাই-সহ অস্ত্র আইন সংক্রান্ত একাধিক মামলায় বাম আমল থেকেই পুলিশের খাতায় নাম ছিল আকুর। তবে সম্প্রতি সেসব ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছিলেন মোফাজ্জল হক। ছিল একটি মাছের ভেরিও। কিন্তু সমাজে মাথা উঁচু করে ভালোভাবে বাঁচার আগেই দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ দিতে হল আকুকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা নাগাদ আলাউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন বর্তমান সময়ের তৃণমূল কর্মী মোফাজ্জল হক। সেইসময় আচমকাই মাটিয়া থানা এলাকার চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েতের রাজাপুর বাজার এলাকায় তাঁদের ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে বেশকয়েজন দুষ্কৃতী।
সেই সময় মাথায় ও বুকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি লাগায় সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মোফাজ্জল হক। তারপর তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোও হয়। অন্যদিকে আহত অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে বাইক নিয়ে এখানে থেকে পালিয়ে যান আলাউদ্দিন। স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাঁদের দুজনকে বসিরহাট হাসপতালে নিয়ে গেলে মোফাজ্জলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে আলাউদ্দিন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ উঠে আসছে। যেমন- পুরনো জীবনের শত্রুতার পাশাপাশি রাজনৈতিক হিংসার কারণকেও বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। আবার তাঁর ভেরির ব্যবসার দিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তবে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।