বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছেলেবেলার একটি ছবি। সেটি ঘিরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর অভিযোগ। এবার সেই নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সোমবার ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে এই নিয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি।
আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুণাল (Kunal Ghosh)
তৃণমূল নেতা জানান, ভাইরাল হওয়া ছবিতে যে শিশুকে দেখা যাচ্ছে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে থাকা দম্পতি হলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বাবা-মা, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছবিটির অপপ্রয়োগ করে একাংশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে ‘বিকৃত ইঙ্গিতপূর্ণ কুৎসিত প্রচার’ করছেন বলে দাবি করেন কুণাল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ও বিরোধীদের একটি অংশ কুৎসাকারীদের ‘স্পনসর’ করছে।
শাসকদলের এই নেতার কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ধরণের নোংরা আক্রমণ যারা করছে, তারা জেনে রাখুক, শৈশব থেকে পরিবারে তাঁর লড়াকু জীবন, ভাইবোনেদের নিয়ে অভিভাবকের ভূমিকা পালন, রাজনীতিতে কত সংগ্রাম করে এগিয়ে চলা, বাংলা তথা ভারতের মানুষ জানেন, গোটা বিশ্বের বাঙালি, প্রবাসী ভারতীয়রা মমতাদিকে ভালোবাসেন, সম্মান করেন। এই ছবির অপব্যবহার ও বিকৃত প্রচার যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও জরুরি’।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দাবি, একটি বিশেষ বইয়ের ওপর ভিত্তি করে এই অপপ্রচার করা হচ্ছে। তবে সেই বইয়ের লেখকের বিরুদ্ধেই বধূনির্যাতনের অভিযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পিয়ন থেকে সিনিয়র অফিসার! অষ্টম বেতন কমিশনে কার মাইনে কতটা বাড়বে? দেখুন পাকা হিসেব
কুণাল লেখেন, ‘যাঁর লেখা একটি বইকে ব্যবহার করে এত অপপ্রচার, জেনে রাখুন, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই বধূনির্যাতনের অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেছিলেন তাঁর পুত্রবধূ অভিনেত্রী শম্পা ঘোষ, যিনি শত্রুঘ্ন সিনহার ‘অন্তর্জলী যাত্রা’ ছবির নায়িকা… এই অভিযোগ এবং আরও কিছু অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কার করেন’।
তৃণমূল (TMC) নেতার দাবি, এরপরেই সিপিএমের দু’জন নেতার সঙ্গে ওই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠতা হয়। পুত্রবধূ শম্পার আনা বধূনির্যাতনের অভিযোগে আস্তে আস্তে বামফ্রন্ট পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
কুণাল (Kunal Ghosh) লেখেন, ‘তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করা বই লিখে সিপিএমের গুডবুকে থেকে গ্রেপ্তার এড়ান ওই ব্যক্তি। শম্পা ঘোষ যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালমৃতা না হতেন, তাহলে ওই ব্যক্তির কপালে দুঃখ ছিল। যেসব জানোয়ার এই ছবির অপব্যবহার করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যা রটনায় বিদ্ধ করতে চাইছে, ব্যক্তি আক্রমণে সব সীমা লঙ্ঘন করছে, তারা এসব বাঁদরামি বন্ধ করুন’।