বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে (Chief Justice Of Calcutta High Court) বিঁধলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বৃহস্পতিবার একটি মামলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। সেই ইসুতেই প্রধান বিচারপতিকে ‘আক্রমণ’ করে কুণাল ঘোষ বললেন, ‘উনি বাইরে থেকে বদলি হয়ে এসেছেন। রাজ্যের ইতিহাস-ভূগোল কোনোটাই জানেন না। অন্যদের কাছ থেকে সেটা জেনে নেওয়া জরুরি।’
চলতি সপ্তাহেই বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা প্রায় ৬০০ থেকে ৬৫০টি বিএড কলেজের অধিকাংশর পরিকাঠামোগত বিষয় নিয়ে অভিযোগ ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ ছিল, এই এত কলেজের মধ্যে অধিকাংশর ক্ষেত্রেই এনসিটিই (National Council for Teacher Education) গাইডলাইন অনুযায়ী যে পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন, সেসব কিছুই নেই। তার পরও কলেজ চলছে। কিভাবে কোনো উপযুক্ত পরিকাঠামোনা থাকা সত্ত্বেও ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি চলছে, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল।
অ্যাফিলিয়েশন (রিনিউ) নেই বলে এই সব কলেজের পড়ুয়ারা বিএড পরীক্ষায় বসতে পারছেন না। সেই অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই সব পড়ুয়ারা। সেই মামলাতেই ক্ষোভের সুরে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘এই সব কারণেই বাংলার ছেলেমেয়েরা বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগও বন্ধ। কলেজেও দুর্নীতির এত অভিযোগ। এই সব কারণেই এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বাধ্য হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ব্রেক ওভার! এবার বড় ঘোষণা সাংসদ অভিষেকের, ধন্য ধন্য করছে সকলে…
এরই ‘পাল্টা’ দিতে গিয়ে কুণালবাবু বলেন, “পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, উনি এ রাজ্যের ইতিহাস-ভূগোল কিছুই জানেন না। বাম জমানার সময় একের পর এক মামলা হয়েছে। সেই সময় নথি ছিল, চিরকুটে সবকিছু হত বলে কিছুই জানা যেত না। এখন কম্পিউটার আছে বলে সব জানা যায়। “বাম জমানায় শিল্প বলে কিছু ছিল না। কম্পিউটার ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিচারপতি অন্য রাজ্য থেকে বদলি নিয়ে এখানে এসেছেন। অন্যদের কাছ থেকে ইতিহাস-ভূগোল জেনে নেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার প্রধান বিচারপতিকে বিঁধেছেন কুণাল।