বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। উনি কোন দলে আছে, আর কোন দলে নেই এর উত্তর এখন হয়ত উনি নিজেই দিতে পারবেন না। দু’দিন আগে বোলপুরের সার্কিট হাউসে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং বাকিদের পাশে দাঁড়িয়ে মুকুল রায় দাবি করেছিলেন যে, এবারের পুর নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি জিতবে।
তৃণমূল নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে এহেন মন্তব্য করায় বাকিরা ওনার ভুল শুধরে দেন। এরপর মুকুল রায় নিজের ভুল না শুধরেই বলেন, ‘তৃণমূল আর ভারতীয় জনতা পার্টিতো একই।” পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি অবাক হলেও, বিষয়টি এড়িয়ে যান।
যদিও, এটাই প্রথম না যে মুকুলবাবু এমন মন্তব্য করে সারা ফেলে দিলেন। এর আগেও তিনি দু’বার পরপর এমন মন্তব্য করে তৃণমূল শিবিরে কম্পন ধরিয়ে দিয়েছেন। বলে রাখা ভালো, একুশের নির্বাচনে বিজেপির হারের পর মুকুল রায় এবং ওনার পুত্র শুভ্রাংশুরা আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।
মুকুলবাবুর তৃণমূলের যোগদানের পরই বিজেপি ওনার উপর চাপ সৃষ্টি করার কাজ শুরু করে দেয়। বিজেপি ওনার বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য আদালতে পর্যন্ত মামলা করে। অন্যদিকে, মুকুলবাবু এখন আবার বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান। যেই পদটি বিরোধীদের হাতে থাকার কথা, মুকুলবাবু এখন সেই পদেই রয়েছেন।
বিজেপির তরফ থেকে মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে তুমুল আপত্তি জাহির করা হয় এবং মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু, অবাক করা বিষয় হল মুকুল রায়ের আইনজীবী এখনও দাবি করে যাচ্ছেন যে, মুকুলবাবু বিজেপিতেই আছেন তিনি কোনদিনও তৃণমূলে যোগই দেননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুকুলবাবু নিজের পদ বাঁচানোর জন্যই এহেন দাবি করছেন।
অন্যদিকে, মুকুল রায়ের সাম্প্রতিক বয়ান নিয়ে তৃণমূলের নেতারাও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুকুলবাবুর মানসিক অবস্থা ভালো নেই বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘মুকুল রায় সোম, বুধ শুক্র একটা দল করেন, মঙ্গল বৃহস্পতি শনি আরেকটা দল করেন, রবিবার মাথার চিকিৎসা করান। এর বেশি আমি জানিনা।”