বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ইডির নিশানায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)! সোমবার বিকেলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, তৃণমূলের ১০.২৯ কোটি টাকা ‘বাজেয়াপ্ত’ করা হয়েছে। ‘ডিমান্ড ড্রাফট’ আকারে টাকা সেই টাকা ‘বাজেয়াপ্ত’ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার এই নিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
অ্যালকেমিস্ট মামলার (Alchemist Case) তদন্তে নেমে সোমবার তৃণমূলের ১০.২৯ কোটি টাকা ‘বাজেয়াপ্ত’ করে ইডি (ED)। সংশ্লিষ্ট অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত করছে। ইডির টাকা ‘বাজেয়াপ্ত’ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি টুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আলকেমিস্ট প্রসঙ্গে।
2014 সালে হেলিকপ্টার ভাড়ায় ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। তখন দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
এর পেমেন্টের বিষয়ে জানা ছিল না। মুকুল তারপর বিজেপিতে যান।
পরে ইডি বলার পর পার্টি জানায় বকেয়া ভাড়া 48 ঘন্টায় মেটানো হবে। ইডি বলে তাদেরই দিতে। পার্টি ড্রাফটে পুরোটা…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 11, 2024
অপরদিকে রাজ্যের শাসক দলের তরফ থেকে জানানো হয়, ইডির তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এখন এই বিষয়টিকেই নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এবার এই বিষয় নিয়ে ইডিকে প্রশ্নবাণ ছুঁড়লেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কুণাল ঘোষ। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন তিনি। দীর্ঘ পোস্ট শেষে ‘মিঠুন চক্রবর্তী গ্রেপ্তার নন কেন?’ প্রশ্ন করেন কুণাল।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, অ্যালকেমিস্ট (Alchemist) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলার তদন্তে নেমে ১০.২৯ কোটি টাকা ‘বাজেয়াপ্ত’ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থার মালিক ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন জোড়াফুল সাংসদ কেডি সিং। লখনৌতে একটি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। এরপর শুরু হয় তদন্ত। ইডি জানতে পারে, আমানতকারীদের থেকে ১৮০০ কোটি টাকা তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট গোষ্ঠী। টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, পরে সেটি মিথ্যে প্রমাণিত হয়। কোনও টাকাই ফেরত দেয়নি এই অর্থলগ্নি সংস্থা। নানান বিমান ও হেলিকপ্টার সংস্থাকে অ্যালকেমিস্ট গোষ্ঠী ১০.২৯ কোটি টাকা দিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি কাণ্ডে বিরাট মোড়! CBI-র হাতে শাহজাহানের ‘ডান হাত’, পরিচয় সামনে আসতেই…
অন্যদিকে নির্বাচনের কাজে এই হেলিকপ্টার চেপেছিলেন রাজ্যের বহু নেতা-নেত্রী। বেশ কিছু টাকা তাতে বকেয়া থেকে যায়। পরবর্তীকালে জোড়াফুল শিবির এই বিষয়ে জানতে পারে। ইডির পরামর্শ অনুযায়ী সেই টাকা মেটানো হয় এবং তা মেটানো হয়েছিল ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে। সম্পূর্ণ বিষয়টির প্রমাণ রয়েছে। ইডিও নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে ডিমান্ড ড্রাফটের কথা উল্লেখ করেছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে বলে দাবি করে তৃণমূল। উল্লেখ্য, অ্যালকেমিস্টের টাকা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করেছে ইডি। কারণ নির্বাচনী তহবিল দেখার দায়িত্ব তাঁর ওপরেই ছিল।
সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে এবার সুর চড়ালেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতা গতকাল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘অ্যালকেমিস্ট প্রসঙ্গে। ২০১৪ সালে হেলিকপ্টার ভাড়ায় ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। তখন দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। এর পেমেন্টের বিষয়ে জানা ছিল না। মুকুর তারপর বিজেপিতে যান। পরে ইডি বলার পর পার্টি জানায় বকেয়া ভাড়া ৪৮ ঘণ্টায় মেটানো হবে। ইডি বলে তাদেরই দিতে। পার্টি ড্রাফটে পুরোটা পেমেন্ট করেছে। সেটাই ইডি দেখিয়েছে। এটা বকেয়া বিল। Proceeds of Crime বলা হয়নি। প্রশ্ন হল, অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর মিঠুন চক্রবর্তী গ্রেপ্তার নন কেন? এই বিজেপি নেতা টাকা নিয়েছিলেন কিনা, নিলে কত টাকা নিয়েছিলেন প্রকাশ্যে জানাক ইডি।‘