বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। তার আগে গতকাল জাতীয় স্তরে বিজেপির সাংগঠনিক পদের নয়া তালিকা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সংগঠনে বড়সড় রদবদলে BJP-র সর্বভারতীয় সহসভাপতির দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যা নিয়ে জোর চর্চা রাজ্য-রাজনীতিতে। এরই মধ্যে এই ইস্যু নিয়ে দিলীপকে খোঁচা দিতে বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করলেন না তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
ঠিক কি বললেন কুণাল? এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি একটা আলাদা দল। দিলীপ ঘোষ নাম সহ সভাপতি পদ থেকে সরে গেল। অনেকে বলেছেন ললিপপের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার পদ কয়েক মাসের জন্য সান্ত্বনা পুরষ্কার পেতে পারেন। এরা মিউজিক্যাল চেয়ারে থাকেন।”
শুধু তাই নয়! দিলীপবাবুকে কুণালের বিশেষ পরামর্শ, “বেশি অপমানিত হলে দিলীপ ঘোষ দুয়ারে সরকার ভেবে দেখতে পারেন, নিজের বাড়ির লোকেদের মতো। যারা যারা নানা সমস্যায় থাকে তাদের জন্য সরকারের নানা স্কিম থাকে। আগেও উত্তর দিনাজপুরের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাদ দিয়েছিল। আমরা বলছি জীবনের সমস্যা থাকলে, দুয়ারে সরকারের নানা স্কিম ভেবে দেখতে পারেন।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি হতে শুরু করেছিল। এরপর ২০২১ সালে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর দিলীপবাবুকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করেছিল বিজেপি। বঙ্গ রাজনীতিতে থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উত্থান ঘটে দিলীপ ঘোষের।
একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবেই দলে সুনাম তার। তবে হঠাৎ কেন্দ্রীয় সংগঠনের বিরাট রদবদলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। এখন লোকসভার আগে দিলীপবাবুকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আবার অনেকে বলছেন বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরেই তার পদচ্যুতি। তবে এই সবটাই জল্পনা মাত্র।