বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি হলদিয়ায় শ্রমিক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একইসঙ্গে ঠিকাদারি এবং তৃণমূল দল দুটো করা যাবে না। যেকোনো একটি ছাড়তে হবে।” আর তাঁর এই মন্তব্যের পরই তৃণমূল দল ছাড়লেন বেলপাহাডড়ির সিমলার তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দত্ত। এই তৃণমূল নেতার দাবি, “ঠিকাদারি ছেড়ে দিলে সংসারের জন্য অর্থ উপার্জন অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।” সেই কারণে দল ছাড়লেন তিনি।
এদিন সিমলার তৃণমূল নেতা বলেন, “আমাকে সংসারের জন্য অর্থ উপার্জন করতে হবে আর সেই কারণে আমি তৃণমূল দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি প্রথম থেকেই তৃণমূল দলের হয়ে কাজ করে চলেছি। এর পাশাপাশি আমাকে সংসার চালাতে হয়, তাই জন্য ঠিকাদারি করি। কিন্তু এই পেশাই যদি ছেড়ে দিই, তাহলে রুজি রোজগার করা মুশকিল হয়ে পড়বে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অভিজিৎবাবু বলেন, “আমাকে দল যা নির্দেশ দেবে, আমি তা মেনে চলবো। দলকে আমি বর্তমানে জানিয়েছি যে, ঠিকাদারি ছেড়ে দিলে আমার সংসার চলবে না আর সেই কারণেই আমার এই সিদ্ধান্ত।” ঘটনাটির সামনে আসার পরই রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা মারতে ছাড়েনি বিজেপি দল। বিজেপি নেতা দেবাশীষ কুন্ডু বলেন, “শাসক দলের সবাই ঠিকাদারি করে। তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী সবাইকে দল ছাড়তে হবে।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন পূর্বে হলদিয়ায় শ্রমিক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকাদারদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “আপনারা হয় ঠিকাদারি করুন, নয়তো তৃণমূল দল। দুটো একসঙ্গে কোনভাবে করা যাবে না। তাই যদি তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান, তাহলে ঠিকাদারি ছেড়ে দিন।” আসলে এলাকায় যেভাবে প্রমোটার রাজ নিয়ে ক্রমশ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, তা আঁচ করতে পেরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমন মন্তব্য করেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে তাঁর এই মন্তব্যের পর এদিনই দল ছাড়লেন অভিজিৎবাবু এবং ভবিষ্যতে সেই তালিকা আরো লম্বা হয় কিনা, সেটাই দেখার।