বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নিজের দফতরেই হাতে বন্দুক নিয়ে চেয়ারে বসে রয়েছেন তৃণমূলের (tmc) সভানেত্রী এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি (Mrinalini Mandal Maiti)। আর এই ছবি ভাইরাল হতেই, হইচই পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। যদিও এই ছবিকে অনেক পুরনো বলে দাবি করলেও, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি বলে তোপ দেগেছে বিজেপি শিবির।
বিষয়টা হল, সম্প্রতি দিনে ওল্ড মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মালদহ মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতির একটি ছবি ব্যাপক হারে ভাইরাল হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। যেখানে তাঁকে দেখা যায় নিজের দফতরেই হাতে বন্দুক নিয়ে চেয়ারে বসে রয়েছেন তিনি। আর তা নিয়েই জলঘোলা হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
এই ছবি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বইতে থাকে প্রশ্নের ঝড়। কেন দফতরের মধ্যে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী, এই প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয় সবুজ শিবির। উলটে মৃণালিনী দেবী দাবি করেছেন, প্রায় এক বছরের পুরনো এই ছবিটা, আবারও নতুন করে তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও তাঁর এই বক্তব্য মানতে নারাজ অনেকেই।
এবিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘এভাবে সরকারী চেয়ারে বসে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খেলা করাটা একদমই ঠিক নয়। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এসবের জন্য। আর এই বন্দুকটা আসল কিনা সেটাও দেখতে হবে। তবে আমরা মনে হচ্ছে এটি আসল’।
অন্যদিকে একাধিকবার বিতর্কের কারণে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসা মৃণালিনী মণ্ডল মাইতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘শুধু পিস্তল নয়, খুজলে বোম, AK 47-ও পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে এটাই ওদের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১১ বছর ধরে গোটা রাজ্যের মত মালদহটাকেও বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছে তৃণমূল’।