গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল নেতা, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ফায়ার করে উড়িয়ে দেওয়া হল মাথার খুলি!

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের উত্তপ্ত বাংলা। সন্ধ্যা নামার মুখে প্রকাশ্যেই খুন এক তৃণমূল নেতা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল তৃণমূলের বুথ সভাপতির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) দুর্গাবাটি এলাকা। কিন্তু কী কারণে খুন হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি, তা এখনও স্পষ্ট নয় প্রশাসনের কাছে।

পুলিস সূত্রে খবর নিহতের নাম সাধন মণ্ডল। তিনি আন্ধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। গতকাল রবিবার সন্ধেয় বিষ্ণুপুর ও সোনারপুর থানা এলাকার সীমানা লাগোয়া বিষ্ণুপুর থানার দুর্গাবাটি মোড়ে চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময়ই তিনজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে আসে। একজন দোকানের মধ্যে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখায়। দোকানের মধ্যে থাকা ক্রেতারা আতঙ্কে এদিক ওদিক পালিয়ে যায়। তারপরই সাধনবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতার ভাইপো শুভঙ্কর মণ্ডল। তিনি জানান, কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি চলে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সাধন। স্থানীয়দের চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন এলাকার মানুষজন। ততক্ষণে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার বিরাট পুলিসবাহিনী। দেহ উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাধন মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণ করেন চিকিৎসকরা।

bishnupur 2

এই খুনের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক শত্রুতা। এমনই অনুমান করছে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি পিন্টু সর্দার। স্থানীয় বিধায়ক তথা পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল অবশ্য খুনের কারণ নিয়ে এই মুহুর্তে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে চাননি। যদিও বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটুর বলেন, ‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলেই মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল বুথ সভাপতির।’

কয়েক মাস আগেই, নদিয়ার তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে খুন করা হয় মুর্শিদাবাদের নওদাতে। ঘিরে ধরে তাকে নিশানা করে গুলি, বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। মৃতের নাম মণিরুল ইসলাম(৪৫)। তিনি নদিয়ার করিমপুর ২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী ও তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। নওদা হস্টেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করে তিনি ফিরছিলেন। তখনই একেবারে পরিকল্পিত হামলা।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর