বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির পারদ চড়ছে! মাঝেমধ্যেই বাদবিতণ্ডার জড়িয়ে পড়ছেন দু’দলের নেতারা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল আরও একটি নাম। বিরোধীদের এবার ‘বোমা মারা’র নিদান দিলেন তৃণমূলের নেতা (TMC Leader) অজিত মাইতি। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর। এদিন প্রকাশ্য জনসভায় তিনি বললেন ‘ক্যাকা করতে এলে চকোলেট বোমা ফেলবেন। সব ধামাকা উড়ে যাবে।’
কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদও শেষের দিকে। মার্চ-এপ্রিলেই হতে পারে নির্বাচন। ২২ জেলায় পঞ্চায়েতে আসন পুনর্বিন্যাসের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সর্বদল বৈঠকের পর, এখন খসড়া ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৫ জানুয়ারি। সেই তালিকা দিয়েই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারিতে সভা করে তৃণমূল। সেই সভায় দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘এবার ওরা ক্যাকা ভোটে একটু লড়ার চেষ্টা করছে। বলছে ডিসেম্বরে ধামাকা দেব। ধামাকা মানে ব্লাস্ট। খুব বড় ধামাকা দেব, বলছে সবাই। পয়সা আছে তো বিজেপি পার্টির, তাই বড় ব্লাস্ট করাতে পারে’। এরপরই হুঁশিয়ারি, ‘আপনাদের সামনে যদি ক্যাকা আসে, বুড়িমার চকোলেট আছে, দু’চারটে চকোলেট বোমা ফেলবেন। সব ধামাকা উড়ে যাবে’!
কিছুদিন আগেই কোশিয়াড়ির নছিপুরে জনসভা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। একই জায়গায় এবার পালটা সভা করল তৃণমূল কংগ্রেসও। বিজেপির সোনালি মুর্মু বলেন, ‘সরকারের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। শাসকদলের কোনও নেতার বক্তব্য সমাজ বিরোধীদের মতো হওয়া উচিত নয়’। সঙ্গে কটাক্ষ, ‘বিজেপি যেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছে, ভয় পেয়ে পালটা সভা করছে গণতন্ত্র হত্যাকারী তৃণমূল। ২৩ সালের নির্বাচনে কে কাকে বোমা মারবে, তা জবাব পাওয়া যাবে’। আপাতত এই মন্তব্যে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি।