বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সপ্তাহে ছিল তৃণমূলের শহিদ দিবস (Trinamool Shahid Diwas)। ২১ জুলাই! দিনটির সাথে বর্তমান শাসকদলের বহু আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এই দিন বিপুল কর্মী সমাবেশের মধ্যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা রাখেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রথম সারির কিছু নেতা-মন্ত্রী। তবে এবছর চেনা মুখ গুলোর মধ্যে হঠাৎই এক সুন্দরী তরুণীকে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়। ঝাঁঝালো বক্তৃতা আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সাথে মঞ্চ কাঁপান তিনি। কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু এখন তৃণমূলের (Trinamool Congress) যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajanya Haldar)।
তবে লাইমলাইটে আসার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছেন রাজন্যা। আসলে ২১ এর মঞ্চে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তরুণী নেত্রীর গলায় শোনা যায় , ‘জুলমি জব জব জুলম করেগা সত্তা কি হাতিয়ারো সে, চপ্পা চপ্পা গুঞ্জ উঠেগা মমতা দিদি কি নাড়ো সে।’ এই স্লোগান (Slogan Controversy)। আর আসল স্লোগানটি ছিল ‘জুলমি জব জব জুলম করেগা সাত্তা কি হাতিয়ারো সে, চপ্পা চপ্পা গুঞ্জ উঠেগা ইনকিলাব কি নাড়ো সে, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’ স্লোগানের শেষ শব্দ ‘ইনকিলাব’ বদলে দেওয়াতেই বিতর্কের সূত্রপাত। শুরু রাজনৈতিক তরজা।
এখানে এবিভিপি দাবি করেছে স্লোগানটি তাদের। তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘স্লোগান চোর’ বলেও কটাক্ষ করতে বাকি রাখেননি তারা। আবার অন্যদিকে
এসএফআইয়ের দাবি, এই স্লোগান তাদের। তবে এই স্লোগান নিয়ে রাজন্যা নিজে কি বলছেন, কি ভেবে বলেছিলেন সেই নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাহান্টের ক্যামেরায়।
ঠিক কি বললেন রাজন্যা? স্লোগান বিতর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করিনা স্লোগানটি চুরি করা। স্লোগান কারোর ব্যক্তিগত ফ্র্যাঞ্চাইজি হতে পারে না। এটা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ের স্লোগান। তারপর নানা জন নানা ভাবে বিভিন্ন সময়ে এই স্লোগানকে ব্যবহার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেশের জন্য যা সংগ্রাম ছিল আমি মনে করি তার সঙ্গে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের খুব মিল। দিদির সংগ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে এবং আমরা পরবর্তীতে ২০২৪ শে চাই যে সেই অধিকার বুঝে নেওয়ার লড়াই এই সংগ্রাম সমগ্র দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করবে। সেই জন্যই সেই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই আমার এই স্লোগান তোলা।’ অর্থাৎ এবিভিপি-র স্লোগান ‘চুরির’ দাবি একেবারেই মানতে নারাজ রাজন্যা।