তরুণীকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার, কেস না নিয়ে উল্টে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি IC-র!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। ধূপগুড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। এক্ষেত্রেও বাগুইআটি জোড়া খুনের (Baguati Double Murder Case) মতই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।দোষীকে না ধরে পুলিশ নাকি নির্যাতিতার প্রতিবেশীদের উপর চাপ দিচ্ছে। কিন্তু হঠাত্‍ করে প্রতিবেশীদের উপর চাপই বা দিচ্ছে পুলিশ?

কিছুদিন আগেই বাগুইআটির জোড়া খুনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। অবশেষে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত। এর মধ্যেই আবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠে এল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকায়। ঘটনার সূত্রপাত ৩০ অগাস্ট। সেদিন ধূপগুড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে সেই নির্যাতিতা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক।

কিন্তু থানায় অভিযোগ জানানোর পর এতদিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ তো করেনিই, উল্টে, নির্যাতিতার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘বাড়ি থেকে আসামীকে তুলছে না। চুপচাপ আছে। আমাদের যে লোক প্রতিবাদ করছে ওদেরকে চাপ দিচ্ছে। পুলিশ এই কাজ করছে।’ নির্যাতিতার প্রতিবেশী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের উপর চাপ দিচ্ছে। আসামীকে আড়াল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ আর এক প্রতিবেশী জানান, ‘আমাদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আইসি ধমক দিয়ে বলছে তোরা টাকা খেয়েছিস। এমন কেসে ফাঁসাবো না!’

সরাসরি ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন নির্যাতিতার বাবা ও প্রতিবেশীরা। জানা যাচ্ছে, এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন সুজয় তুঙ্গা। সুজয় এর আগে ভক্তিনগর থানার আইসি ছিলেন।২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জমি কেলেঙ্কারিতে ক্লোজ করা হয়। এরপর ধূপগুড়ি থানায় আসেন সুজয়।

জেলা পুলিশ অবশ্য আইসি সুজয় তুঙ্গার পাশে দাঁড়িয়েছেন। পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক।’

এই ঘটনা নিয়ে ধূপগুড়িতে রাজনৈতিক তর্জাও শুরু হয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি বিজেপি জেলা সম্পাদক মাধবচন্দ্র রায় বলেন, ‘এই আইসি যা আরম্ভ করেছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও এমন করে না। পুলিশ এখন তৃণমূলের সংগঠন দেখার দায়িত্ব নিয়েছে। তৃণমূলের লোককে বাঁচাতে হবে না!’

রবিবার নির্যাতিতার বাড়ি যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ধূপগুড়ি গ্রামীণ তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপু রায় বলেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা দলীয় ভাবে তদন্ত করে দেখব।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর