দুর্গাপুরে ঘর থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের ঝুলন্ত মৃতদেহ। এই ঘটনার পরউ তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরে (Durgapur)। অন্ডাল থানার ছোড়া গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতীই হয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা।

জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল (TMC) নেতার নাম নদিয়া ধীবর। পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের অন্ডাল থানার ছোড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। জানা যাচ্ছে, ওই নেতা পেশায় আইনজীবী। তবে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, অন্যান্যদিনের মতোই শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর নদিয়াবাবু নির্দিষ্ট ঘরে ঘুমতে যান।‌ সকালে উঠে নিজের অফিসে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দেখেন। আবার দোতালায় নিজের ঘরে ফিরে যান। সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির পরিচারিকা দোতালায় ঘর পরিস্কার করতে গিয়ে দেখেন, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন ওই তৃণমূল নেতা। পরিচারিকার আর্তনাদে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় বনবহাল ফাঁড়ির পুলিসকেও।

পুলিস গিয়ে নদিয়াবাবুর নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা কর্মী। নরেন্দ্রনাথবাবু জানান, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নদিয়াবাবুর মৃত্যুতে দলের বিরাট ক্ষতি হল।’ মৃতের পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি।

নদিয়া ধীবর আগে ছোড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে নির্বাচনে জিতে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য হন। বর্তমানে তিনি ছিলেন পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে। সম্প্রতি দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যাবে না।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর