বাংলা হান্ট ডেস্ক: বীরভূমের শতাব্দী রায় সারদার টাকা ফেরত দিলেন বলে খবর। জানা গেছে, তৃণমূল সাংসদ মঙ্গলবার ৩১ লক্ষ টাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেটে দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই ইডি আধিকারিকরা জেরা করেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় কে। তিনি সারদার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থার বিপণনী দূত হয়েছিলেন। জেরা করা কালীন তদন্তকারীরা শতাব্দীর কাছে জানতে চান, ‘সারদার সাথে তাঁর কত টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল?’।
এই ঘটনার পরেই ইডি কে চিঠি দেন শতাব্দী রায়। সেই চিঠিতে চুক্তিবাবদ সারদার থেকে নেওয়া টাকা ফেরতের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। চিঠিতে লিখিতভাবে তিনি জানান সারদার সঙ্গে তার চুক্তিতে তিনি যত টাকা নিয়েছিলেন তা বহাল তবিয়তে ফিরিয়ে দিতে চান। তাই কথা মতনই বুধবার কুরিয়ারের মাধ্যমে ইডি দফতরে ৩১ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফট পাঠিয়েছেন শতাব্দী রায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এবার সেই পথেই হাঁটলেন শতাব্দী রায়।
উল্লেখ্য, সারদা মামলার ভোল বেশ কয়েকদিন আগেই পাল্টেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রী, অভিনেতা-অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এই মামলায়। তলব করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ ও অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই তাঁকে তলব করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ‘জাগো বাংলা’র তহবিলের খুঁটিনাটি জানতে জানুয়ারিতেই বদ্ধপরিকর ভাবে তোড়জোড় শুরু করে সিবিআই। যার জেরে, এর আগে জাগো বাংলার প্রকাশক ডেরেক ও’ব্রায়েনকে তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির সিবিআই অফিসে ৯ অগাস্ট হাজিরা দিতে আসেন ডেরেক। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ‘তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-র অ্যাকাউন্টে সারদার টাকা কী করে গেল? এ বিষয়ে জানতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
উল্লেখ্য, সিবিআই এর আগে জাগো বাংলার সম্পাদক সুব্রত বক্সিকে হাজিরা দিতে ডেকে পাঠিয়েছিল। তখন সুব্রত বক্সি সিবিআই অফিসে এসে দলীয় মুখপত্রের তহবিল সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে বাধ্য হন।