বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তোলপাড় রাজ্য! কেলেঙ্কারির অভিযোগে একে একে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তৃণমূল বিধায়ক থেকে শুরু করে বহু নেতার। জেলবন্দি অনেকেই। তার কাছেও যে ইডির (ED) নোটিস আসতে চলেছে তা কি মাসখানেক আগেই বুঝে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh) ? সায়নীর প্রতিবেশী পবন শর্মার আশঙ্কা কিন্তু কিছুটা তেমনই।
ঠিক কী দাবি অভিনেত্রীর প্রতিবেশীর? পবনবাবুর দাবি, জুনের প্রথম দিকে সায়নীর বাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে তাঁর বাঁধানো ছবি ফেলে দিতে দেখেন তিনি। তবে শুধুই যে মুখে বলছেন তেমনটা নয়। সেই ঘটনার ছবিও প্রকাশ্যে এনেছেন সায়নীর প্রতিবেশী।
সাফ ভাবেই পবনবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “জুন মাসের ২/ ৪ তারিখ নাগাদ আমি দেখি সায়নীর বাড়ির পরিচারক তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁধানো ছবি ডাস্ট বিনে ছুড়ে ফেলছেন। আমি তখন তাকে আটকাতে গেলে পরিচারক জানান, সায়নী নিজেই নাকি তাকেও এই কাজ করতে বলেছেন।”
সায়নীর প্রতিবেশী আরও বলেন, “সেদিন ছবি ফেলে দেওয়ার বিষয়টি আমার খুব অদ্ভূত লেগেছিল। কোনও দলের নেতা বা কর্মী সেই দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর ছবি কেন ডাস্টবিনে ফেলবেন? তবে সম্প্রতি যখন সায়নীর কাছে ইডির ডাক এল তখন সবটা বুঝতে পারি যে কেন সেদিন বাড়ি থেকে মমতা – অভিষেকের ছবি ডাস্ট বিনে ফেলছিলেন সায়নী।”
পবনবাবুর কথায়, “হয়তো সায়নী আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, যে কোনও সময় তদন্তের জন্য ডাকাত হতে পারে। বাড়িতে ইডি – সিবিআইও তল্লাশি চালাতে পারে।” পবনবাবুর দাবি এইসব বুঝতে পেরে আগে থেকেই এই কাজ করেন সায়নী।
তিনি আরও জানান, ” ২০২০ সাল থেকেই সায়নীর বিপুল পরিমান সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়। ওই বছরই বিক্রমগড়ে কোটি টাকার ফ্ল্যাট বুক করেন সায়নী।” এরপরেই মারাত্মক দাবি তুলে তিনি বলেন, ওই ফ্ল্যাট বুক করার সময় তার সঙ্গে ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ। তাই সায়নী যে কুন্তলকে তৃণমূলের যোগদানের পর থেকে চেনেন একথা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি প্রতিবেশী পবনবাবুর।