মাদক চক্রের মাথা খোদ তৃণমূল নেতার বোন, চ্যাং-দোলা করে তুলে আনল পুলিশ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহর জুড়ে একচেটিয়া মাদকের কারবারে (Drug Smuggling) অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বোন। তাঁকে ধরিয়েও দিলেন অন্য তৃণমূল নেতারাই। এহেন ঘটনার জেরে কার্যতই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি এলাকায়।কিন্তু বিষয়টি আসলে কী? জানা যাচ্ছে, এলাকায় রমরমিয়ে মাদকের ব্যবসা চালাচ্ছিলেন এক মহিলা। লালটি পাশোয়ান নামের ওই মহিলার আবার তৃণমূলের খেত মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি ধরম পাশোয়ানের বোন।

এলাকায় এহেন মাদকের কারবারে ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বিষয়টি অত্যন্ত খারাপ দিকে এগোচ্ছে বুঝে পুলিশ সুপারের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ সহ একটি চিঠি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এই নেতাদের মধ্যে ছিলেন জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং দলের অন্যান্য কাউন্সিলররা। পুলিশ সুপারের কাছে ওই মহিলার নামে স্মারকলিপি দেওয়ার পরই শুরু হল আসল কাণ্ড।

এলাকায় এহেন অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের তরফে সাদা পোষাকে অভিযান চালানো হয় জলপাইগুড়ির ২ নম্বর গুমটি এলাকায়। আর সেখান থেকেই আটক করা হয় লালটি নামের ওই মহিলাকে। ধরা পড়ে যাওয়ার পরও প্রবল।বাধা দিতে থাকেন তিনি। চেষ্টা করেন পালানোরও। শেষমেষ তাঁকে চ্যাংদোলা করর থানায় তুলে নিয়ে আসে পুলিশ।

Arrest 0

এই বিষয়টি অবশ্য বেশ সতর্কতার সঙ্গেই এড়িয়ে গেছেন তৃণমূল নেতা ধরম পাশোয়ান। বোনের কুকীর্তির সঙ্গে নিজেকে জড়াতে নারাজ তিনি। তৃণমূল নেতার দাবি, দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ বোনের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্কই নেই তাঁর। তাই বোন কী করেছে তার দাঁয় কোনও রকম ভাবেই নিতে চান না তিনি। উলটে তিনি এও দাবি করেছেন যে, এলাকায় মাদক চক্রের বিরুদ্ধে তিনিও থানায় চিঠি দিয়েছেন একাধিকবার। এমনকি জলপাইগুড়ি এলাকার ওষুধ দোকান গুলিকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি না করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার জেরে প্রবল শোরগোল এলাকায়।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর