বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কাঁথিতে তৃণমূলের ‘বিজেপির সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল’ চলাকালীনই শুভেন্দু অধিকারীকে হুমকি দেন ওই নেতা। সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতি।
রবিবার, কাঁথিতে রীতিমতো শুভেন্দু অধিকারীর পাড়ায় বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পথে নামে তৃণমূল। আর সেই মিছিল থেকেই কাঁথি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয় শোরগোল। ওই মিছিল থেকে এদিন প্রদীপ গায়েন বলেন, ‘আমাদের ভদ্রতাকে আপনারা দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবেন৷ কাল চাইলে আমার কাঁথিতে আপনাদের ঢুকতে দিতাম না৷ আপনার যদি দম থাকে তাহলে ১৫ মিনিটের জন্য সিআরপিএফ ছেড়ে বেরিয়ে আয়, কত বড় বাপের বেটা দেখব!’
এখানেই শেষ নয়, ওই তৃণমূল নেতা আরও বলেন, ‘এরপরে মাত্রা অতিক্রম করলে সিআরপিএফের সামনে মারব৷ মোদী, শাহ কেউ বাঁচাতে পারবে না।’ কিন্তু এহেন হিংসাত্মক পথই কেন, তার সাফাইও অবশ্য দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি৷ ‘কেউ ইঁট মারলে আমরা রসগোল্লা দিব না, পাল্টা পাথর মারব৷ আর নেতাদের কথা শুনে হাত গুটিয়ে বসে থাকব না৷ শুভেন্দু এরপরও মাত্রা অতিক্রম করলে আমরা কর্মীরা লড়াইটা বুঝে নেব৷ কাঁথিতে তোমার ঢোকা হবে না৷ কাঁথি অবরোধ করে রাখব।’
এতকিছুর পরই থামার লক্ষণ মোটেই দেখা যায়নি ওই নেতার মধ্যে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘১১ বছরে বাংলার উন্নয়ন, বাংলার আমূল পরিবর্তন সহ্য হচ্ছে না৷ ৯০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া ৷ আগে সেটা মেটা৷ তারপর বড় বড় কথা বলবি৷’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ আসলে দিদির রাজত্বে বাংলার এত উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না৷ তাই মিথ্যে কুৎসার আশ্রয় নিতে হচ্ছে৷ একদম বেশি লাফালাফি করবে না৷ তুমি যে স্কুলের মাস্টার, আমরা সেই একই কারখানার প্রোডাক্ট!’
তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও অবধি কোনও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি শুভেন্দু অধিকারীর তরফে। যদিও বলাই বাহুল্য তৃণমূল নেতার দেওয়া এই হুমকির পর বেশ খানিক উত্তপ্তই রয়েছে কাঁথির রাজনৈতিক আবহাওয়া।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট