বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছে বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে ‘সৎ রঞ্জন’ (Chandan Mondal)। রঞ্জন গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তদন্তকারীদের হাতে। এবার তাতেই যোগ হল ৪৪ লক্ষ টাকার প্রসঙ্গ। বিস্ফোরক অভিযোগে এগিয়ে এলেন তৃণমূল নেতাও (TMC Leader)।
বাগদার চন্দন মণ্ডলের গ্রামের এক বাসিন্দা অরবিন্দ বিশ্বাসের দাবি চাকরির জন্য সেই চন্দন মণ্ডলকে তিনি প্রায় আধ কোটি টাকা দিয়েছেন। তার মেয়ে ও পরিবারের মত পাঁচজনের চাকরির নিজের জমিজমা বিক্রি করে সেই টাকা জুগিয়েছেন তিনি।প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক থেকে শুরু করে গ্রপ-ডি, মোট ৪৪ লক্ষ টাকা চন্দনকে দিয়েছিলেন তিনি।
তার আরও অভিযোগ কিছুজনের চাকরি হলেও এক-দুমাস পরই সেই চাকরি চলে যায়। এরপর নিজেদের দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে চন্দনের কাছে গেলে সেই টাকা ফেরাননি বলে অভিযোগ করেন বাগদার বাসিন্দা অরবিন্দ বিশ্বাস। পূর্বে সিবিআই দাবি করেছিল, রঞ্জন উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলা ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি তুলেছে। প্রাথমিক শিক্ষক, কখনও বা গ্রুপ ডি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দুর্নীতির হাত আছে বলেই দাবি সিবিআইএর।
অন্যদিকে, চন্দন গ্রেফতারির পর বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মামা ভাগ্নে গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ ঘোষ বলেন, এলাকার ১০০ জনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন চন্দন। বিস্ফোরক দাবি তুলে তিনি বলেন অষ্টম শ্রেণি পাস ছেলেমেয়েকেও শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে চন্দন। সাদা খাতা জমা দিলেও চন্দনের দৌলতে চাকরি হত বলেও অভিযোগ তৃণমূল সদস্যের।
পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ ঘোষ আরও বলেন, “এখান থেকে বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে। বিডিও, ওসিদের যাতায়াত ছিল চন্দনের বাড়িতে। যারা দেশের মানুষের সঙ্গে গাদ্দারি করেছে তাদের সাগরে নিয়ে গিয়ে কুমিরের মুখে ফেলে দেওয়া হোক।” সবমিলিয়ে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে জর্জরিত পকেটে মাত্র ২০৩ টাকা নিয়ে ঘোরা চন্দন।